অবাক করা হলেও সত্যি, রাজধানীতে মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী হিসেবে চাকরি মেলে। বেতন নির্ভর করে ছিনতাই করা ফোনের সংখ্যার ওপর। শর্ত একটাই ছিনতাই করা মোবাইল জমা দিতে হবে চাকরি দাতার হাতে। এমনকি পুলিশের হাতে ধরা পড়লে মামলা চালানো ও জামিনের ব্যবস্থা করে চাকরিদাতারা। ছিনতাই চক্রের এমন একটি দলের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দারা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, গ্রেপ্তারদের কেউ মোবাইল চোর, কেউবা ছিনতাইকারী। কেউ ছিনতাই বা চুরি করা মোবাইলের ফোনের পাইকারি ক্রেতা। আবার কেউ চুরি করা ফোনের আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তনে দক্ষ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের এদের মধ্যে দীপু এবং লাম ইসলাম নামের দুই জন মাসিক বেতন দিয়ে ছিনতাইকারী লালন করে। তবে শর্ত একটাই- চুরি বা ছিনতাই করা মোবাইল জমা দিতে হবে তাদের কাছে।
এরপর চোরাই মোবাইলগুলো তারা তুলে দেয় আরেকটি গ্রুপের হাতে। বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করে ফোনের আইএমইআই নাম্বার পাল্টায় সেই গ্রুপটি। চতুর্থ ধাপে এসব মোবাইল ফোন চলে যায় গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে।
তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে এমন ৮০টি চোরাই মোবাইল উদ্ধারের পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও পুলিশ মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনা কেবল আইএমইআই পরিবর্তনের কারণে।
রাজধানীতে চোরাই ফোন বেচাকেনা সিন্ডিকেটের এমন একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ।