নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাজধানী ঢাকাতে দেখা গেছে,বিস্ময় হওয়ার মতো এক কাণ্ড। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষা নিয়েছেন এক ভিক্ষুক। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় গুলশান দুই নম্বরে। ফেসবুকে এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিন বিকেল চারটা নাগাদ ব্যাক্তিগত কাজ সেরে গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ যাচ্ছিলেন এ্যাডরোল এডুকেশনের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা তুষার মালেক। গুলশান-২ সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।
হঠাৎ ১৫-১৬ বছর বয়সের এক হকার টাওয়াল নিয়ে নক করেন তার গাড়ির কাচের জানালায়। তূষার মালেক সে টাওয়াল হকারকে নিরাশ করেননি। নেন দুইটি টাওয়াল, দাম ২০০ টাকা। কিন্তু ক্যাশ টাকা না থাকায় ছেলেটিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায় হকার ছেলেটি।
বিকাশের মাধ্যমে তুষার মালেক থেকে দুই টাওয়ালের মূল্য ২০০ টাকা নিয়ে ওই হকার খুশি মনে ফিরে অন্য ক্রেতার কাছে যাচ্ছে। এমন সময় ষাটোর্ধ্ব এক নারী এসে ভিক্ষা চান তূষার মালেকের কাছে।
তূষার মালেক জানান, সচরাচর ভিক্ষুকদের খালি হাতে ফেরান না তিনি। কিন্তু আজ টাকা ক্যাশ না থাকায় ওই ষাটোর্ধ্ব নারীকে বলেন, তার কাছে নগদ টাকা নেই। তাই তিনি দিতে পারছেন না।
তখনই ওই নারী তুষার মালেক বলেন, স্যার আমার বিকাশ আছে, আপনি চাইলে আমার বিকাশে টাকা দিতে পারেন।
বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর মুখে এমন কথাশুনে রীতি মতো চমকে যান তিনি। অবাক হয়ে বলেন, সত্যি আপনার বিকাশ নম্বর আছে? তাহলে বলুন নম্বরটি, আমি এখনই দিচ্ছি। ওই নারী তখন তরতর করে মুখস্থ বিকাশ নম্বর বলে ফেলেন। তূষার মালেক অবাক চোখে চেয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত তার বিকাশে সেন্ড মানির মাধ্যমে তাকে টাকা পাঠান। বিকাশে টাকা পাওয়ার পর হাসি দিয়ে তূষার মালেককে ধন্যবাদ জানান ষাটোর্ধ্ব ওই নারী।
তখন ষাটোর্ধ্ব ওই নারী ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে চেক করেন বিকাশে আসা টাকা। এসএমএস দেখেই হাসি ফোটে তার মুখে। ব্যালেন্স চেক করেই দোয়ার সাগরে ভাসান তুষার মালিককে।