পটুয়াখালীর মহিপুরে মাছধরা ট্রলারসহ ১৮ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ২২দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। ০৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এফবি আল-হাসান নামের মাছধরার ট্রলারটি বন্দরের মহিপুর মেসার্স মনোয়ারা ফিশ’র ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে যায়। এরপর থেকে ট্রলারের কোনো জেলের সাথে মালিক ও স্বজনরা যোগাযোগ করতে পারেননি।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন- কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ট্রলার মাঝি মো. নজরুল ইসলাম (৬৪) (নজির মাঝি), মহিপুর সদর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের আল-আমিন (২১), বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোট বগি এলাকার শাকিল (১৪), শামিম (৩৮), তোফাজ্জেল হোসেন ফকির (৫২), রমজান তালুকদার (৫০), শাহ আলম (৪০), আজিজ (৪৩), খলিল (৩৯), হোচেন (৩৮) এবং লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাফিজুল্লাহ (৫০), কাশেম (৫০), ইউসুফ (৪২), বাবুল (৪২), আবুল কাশেম (৪২), কবির হোসেন (৪২), বাবলু (৪২) ও শ্রী জগানাথ (৪৮)।
নিখোঁজ নজরুল মাঝির ছেলে মো.নাছির জানান, ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা মায়ানমার ভেসে যেতে পারে অথবা ডাকাতদের কবলে পড়তে পারে।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়াও দেশের সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান লবলেন, নিখোঁজ জেলেদের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।
ট্রলার মালিক মো. হানিফ খলিফাকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।