চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সেলফিতে কাজ হবে না, সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহামারি ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উদাসীন। দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এখন দুর্বলতা ঢাকতে তারা বাড়ির মালিকদের উল্টো জরিমানা করছে। কারণ ডেঙ্গু মশা মারার জন্য যে ওষুধগুলো দরকার তারা সেটি আনতে পারেনি। তারা কোটি কোটি টাকা দিয়ে মশার ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দিল্লিতে গিয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সেলফি তুলছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবেই।
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলীসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সেখানে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়েছে। আলাপচারিতার পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে সেলফি তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ওই অনুষ্ঠানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি President Joe Biden মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যার সাথে। ছবিটা কে তুলেছে মনে হয়?’
অনুষ্ঠানের আরও কয়েকটি ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চমৎকার গল্প হয়েছে। সম্প্রসারিত জনস্বাস্থ্যের অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল সাইকোলজিস্টদের ভূমিকার গুরুত্ব নিয়েও কথা হয়েছে।’