রাশেদুল ইসলাম রাশেদ:স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রকাশ্যে আগামী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও শরীক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বলে পরিচিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীরা পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। তার এই বক্তব্য নিয়ে জেলায় খোদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে তোলপাড়।
গাইবান্ধা-১ আসনে দলের মনোনয়ন পেতে মরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিল্পপতি আফরোজা বারী। তার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যুর পর হঠাৎ সুন্দরগঞ্জের রাজনীতির মাঠে উঠে আসেন শিল্পপতি আফরোজা বারী। অন্যদিকে স্বামীর শোক ভুলে থাকতে এবং স্বামীর আসনটি ধরে রেখে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তার স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিও ছিলেন নৌকা প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে এই আসনে এমপি হন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
এবার দ্বাদশ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান আফরোজা বারী। তিনি ১৭ আগস্ট সুন্দরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু চত্বরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন। সভামঞ্চে উঠে তিনি মাইকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে ভোট বর্জন করা হবে। তার এসব বক্তব্যের ভিডিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।যা ইতোমধ্যে ভাইরাল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আফরোজা বারী গণমাধ্যমকে জানান, আমি নৌকা প্রতীক চেয়েছি এই আসনে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেন আমরা তার পেছনে কাজ করব। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তবে তিনি সভায় ভোট বর্জনের কথা যদি বলে থাকেন, তা সরকারের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য। এ মন্তব্য তিনি দলের বাইরে বলেছেন। কারণ দলের সিদ্ধান্ত তাকে মেনে নিতে হবে।