জাকির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের উপস্থিতিতে জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এসময় তাঁকে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ নারী এমপির।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে “১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন এমপি হোসনে আরা। তখন তিনি ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “দলীয় কর্মসূচিতে আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয় না। আমাকে কেন দাওয়াত দেওয়া হয় না?” এ কথা বলতেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার। এক পর্যায়ে গায়ে হাত তোলেন। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারকে নিবৃত্ত না করে টেবিল চাপড়িয়ে হোসনে আরাকে ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলেন। পরে আওয়ামী লীগ অফিস ত্যাগ করেন হোসনে আরা।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা তাৎক্ষণিক রাত ১০টায় তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, “১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সারা দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা ঘটনার প্রতিবাদে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আমি ওই সভায় উপস্থিত হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের আসনটি খালি দেখতে পাই এবং তার সম্মানে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। পরে তিনি সভাস্থলে এলে আমি তাকে বসতে দিয়ে আমার আসনে বসি এবং সবিনয়ে জানতে চাই, যেকোনো সভা-সমাবেশের বিষয়ে আমাকে কেন জানানো হয় না। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আমার হাতে চড় মারেন।”
সংরক্ষিত এমপি আরও জানান, এ ঘটনায় আমি প্রতিবাদ জানালে প্রতিমন্ত্রী উল্টো আমাকেই ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন। কিন্তু আনোয়ারকে কিছুই বলেননি।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আনোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন হোসনে আরা। সভায় এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি হোসনে আরা এমপিকে হেয় করেননি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে, এমন কিছুই হয়নি। সেখানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত ছিলেন, তিনি সব দেখেছেন।