আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চাচাত বোন স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে যুবক নুর আলম (২৪)।
অভিযুক্ত যুবক নুর আলম আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা চওড়াটারী গ্রামের কালাম ওরফে কামাল হোসেনের ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, আপন চাচাত বোন স্থানীয় স্কুলের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন যুবক নুর আলম। তা বিয়ের প্রলোভনে গত ৭ মাস ধরে দৈহিক সম্পর্কে জড়ায়। প্রায় রাতে স্কুলছাত্রীকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে নুর আলম। গত ২৩ জুলাই রাতে এভাবে স্কুলছাত্রী চাচাত বোনকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে নুর আলম। মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খোজাখুজির একপর্যয়ে নুর আলমের ঘরে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তাদের পরিবার।
পরে পারিবারিক ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত সপ্তাহে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা। পুলিশ তদন্তে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে আপোষ করে নেয়ার প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসেন পুরো গ্রামবাসী। কিন্তু বৈঠকে নুর আলম উপস্থিত না থাকায় বিয়ে নয় টাকার মাধ্যমে আপোষ করার চেষ্টা করেন।
মেয়ের ইজ্জতের মুল্য নির্ধারন শুনে বৈঠক থেকে উঠে আসেন বাদি ওই ছাত্রীর মা। অবশেষে থানায় ঘুরেও কোন প্রতিকার মেলেনি এখনও।
বাদি ওই ছাত্রীর মা জানান, থানায় গেলে এখন বলে আসামীর খোজ নেন। পেলে তাকে গ্রেফতার করে মামলা নেয়া হবে। অভিযুক্ত নুর আলম একজন মাদক ব্যবসায়ী। একাধিকবার পুলিশ ও বিজিবি’র হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছে। এখন নুর আলম ভারতে যাওয়ায় পুলিশ আমাদেরকেই বলে আসামী খুজে দিতে। আমরা কোথায় পাব তাকে। সে তো ভারতে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, স্থানীয় ভাবে আপোষের প্রস্তাব দেয়ায় মামলা নেয়া হয়নি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও জানান তিনি।