ঢাকাবুধবার , ১৬ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে যান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল হুদা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১৬, ২০২৩ ২:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:: গাড়িটি খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। কিন্তু সেই গাড়ি নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলায় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল হুদা খান।

অভিযোগ উঠেছে নিজ ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকাণ্ড করছেন তিনি। অন্যদিনের মতো (১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িটি নিয়ে কেন্দুয়ার এক প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে যান তিনি।

জানা গেছে, নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটি গাড়ি বরাদ্দ দেয় সরকার। বছরে ছয় থেকে সাত মাস খালিয়াজুড়ি উপজেলার সমস্ত রাস্তা পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। তাই খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। সেই সুযোগে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূরুল হুদা খান খালিয়াজুড়ির গাড়িটি নিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার জন্য কেন্দুয়া উপজেলায় যাতায়াত করেন। অন্য দিনের মতো (১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িটি নিয়ে কেন্দুয়ার একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে যায় মদন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান। এ নিয়ে জনমনে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান মুঠোফোনে জানান, খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ি ও চালক মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে। তাই সিভিল সার্জন ও খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেই গাড়িটা আমি ব্যবহার করি। মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলা মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে থাকায় মাঝে মধ্যে আমি গাড়িটা নিয়ে যাই। একটা সিস্টেমেই গাড়িটা ব্যবহার করা হয়।

এ ব্যাপারে খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসানুল মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, আমার উপজেলার রাস্তায় ছয় থেকে সাত মাস পানি থাকে। সেই সময়টায় গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখতে হয়। কিন্তু গাড়িটি দিয়ে মদন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যাতায়াত করেন, তা আমার জানা নেই। গাড়িটি কিভাবে কেন্দুয়া উপজেলায় গেল সে বিষয়ে গাড়ির চালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

নেত্রকোনার সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, খালিয়াজুড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। কিন্তু সেই গাড়ি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করার কোনো নিয়ম নেই। সরকারি গাড়ি নিয়ে যদি প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন