ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুলিশের সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শাহবাগ, পিরোজপুরের পথে সাঈদীর মরদেহ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১৫, ২০২৩ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তাহমিনা আক্তার,ঢাকা:: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হওয়া জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুর নিয়ে যেতে চাইলে সেখানে বাধা দেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টার পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় কঠোর অ্যাকশনে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। টানা কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। আধাঘণ্টা ধরে এ পরিস্থিতি চলতে থাকে।

এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়। পরে সাঈদীর মরদেহগামী গাড়ি পুলিশ পাহারায় পিরোজপুরের গ্রামের বাড়ির পথে রওয়ানা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাত তিনটার দিকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ এম্বুলেন্সে করে পুলিশ বের করতে চাইলে জামায়াত শিবির কর্মীরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এবং দাঁড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা জামায়াত শিবির কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে গাড়ির পাশ থেকে চলে যান। এসময় তারা ঢাকায় জানাজার দাবিতে স্লোগান দেন। ফজরের নামাজের পর অ্যাকশনে যায় পুলিশ।

ভোর ৫টার কিছু পর হাসপাতালে বাইরে থেকে টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে পিছু হটে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় মাওলানা সাঈদীর মরদেহ বের করতে গেলে এম্বুলেন্সের চাকা পাংচার এবং গ্লাস ভেঙে যায়।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ সদস্যরা পাংচার হওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি নিজেরা ঠেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে আসেন। শাহবাগ মোড় পেরিয়ে বারডেম হাসপাতালের সামনে ঠেলে আনার পর অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে মাওলানা সাঈদীর মরদেহ তুলে দেন। পরবর্তীতে সেই অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশি নিরাপত্তায় পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

এদিকে শাহবাগ মোড়ে দুইটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এসময় শাহবাগ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামায়াত নেতা সাঈদী। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে শাহবাগ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা জড়ো হন। শাহবাগ মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের (সাবেক শেরাটন হোটেল) মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। তাঁদের অবস্থানের কারণে সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে গত রোববার বিকেলে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। পরে একই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি প্রমাণিত হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন