সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শ্যালিকার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন তাঁত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলাম উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আগুরিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। একই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর মেয়ে আমিনা বেগমের সাথে ২০ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম। সংসার জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের বাবা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম ও তার শ্যালিকা রাশেদা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে তারা বিয়ে করে। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সহোদর দুই বোনের একই সাথে একজন স্বামী হওয়ার সুযোগ না থাকায় সাইফুল ইসলাম বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে রাশেদা খাতুনের প্রবাসী স্বামী রিপন, পরকীয়া প্রেম ও বিয়ের কথা জানতে পেরে দেশে চলে আসেন এবং স্ত্রী রাশেদাকে উদ্ধার করে। রাশেদা খাতুন স্বেচ্ছায় দুলাভাই সাইফুলকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় রিপনকে বিয়ে করে তার সংসারে ফিরে আসে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি, রিপন বিদেশে চলে গেলে ২ সন্তানের জননী রাশেদা খাতুন পুনরায় দুলাভাই সাইফুল ইসলামের সাথে গোপনে পরকীয়ায় লিপ্ত হন।
ছোট বোনের এমন কর্মকাণ্ডে ও সংসার টিকিয়ে রাখতে অনেকটা নিরবে নিভৃতে ছিলেন সাইফুলের ১ম স্ত্রী আমিনা বেগম। কিন্তু স্বামী আবারোও ছোট বোনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ালে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় আমিনা বেগমের। তিনি স্বামী সাইফুলকে শোধরাতে এবং তার বোনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন। ফলে সংসারে দাম্পত্য কলহ বাড়ে, নানাবিধ বিষয়ে বিশৃঙ্খলা বাড়ে। একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করা শুরু করে।
এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কোনো সমাধান না হওয়ায়। সাইফুল ইসলাম গত ২৭ জুলাই আমিনা বেগমকে ডিভোর্স দেন। তালাকপ্রাপ্ত আমিনা বেগম বর্তমানে সাইফুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ডিভোর্সের বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমিনা বেগম তার লোকবল দিয়ে সাইফুল ইসলামকে নানাবিধ হুমকি দিচ্ছেন। এতে ৩টি পক্ষ বিবাদমান অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এমনটা জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, আমিনার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে এই বয়সে এসেও ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছি। তালাকের পরে তার আমার বাড়িতে থাকার অধিকার নেই। প্রয়োজনে সে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তা না করে সে আমার জানমালের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করছে। আমি নিরাপত্তা চাই।
শ্যালিকা রাশেদা খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
অপরদিকে আমিনা বেগম বলেন, সাইফুল আমার ছোট বোনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত। আমার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে ও বারবার এমন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। আমি ন্যায়বিচার ও সন্তানদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বাড়ি থেকে যাবো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় মাতব্বর জানান, এই পরিবারগুলোর বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমাধান করতে গিয়ে আমরা বারবার ব্যর্থ। এরা শরীয়ত, আইন কিছুই মানে না। বরং এদের এমন অনৈতিক কাজের সুরাহা করতে গিয়ে আমরা বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছি।