ঢাকাসোমবার , ১৪ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১৪, ২০২৩ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খাজা রাশেদ, লালমনিরহাট:: উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট ) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় তা ১৪ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে ৪৪ গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। এলাকায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করাতে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর। প্রতিদিনই নতুন এলাকায় প্রবেশ করছে পানি। নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপাড়ের মানুষের।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬টা থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।

গড্ডিমারি ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, প্রায় ২০ দিন পর আবারও তিস্তার পানি বাড়ছে। এতে তিস্তা পারের নিম্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। চলাচলের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে এই ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা পরের লোকজনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। খাদ্য, অর্থসহ বিভিন্ন বাজেট রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় উপজেলা পর্যায়ে তা বরাদ্দ দেওয়া হবে। আমরা সকল খোঁজখবর রাখছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন