ঢাকাসোমবার , ১৪ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একসঙ্গে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি, ৮ শিক্ষককে শোকজ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১৪, ২০২৩ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :: স্কুল-মাদরাসায়ও শিক্ষক, কলেজেও শিক্ষক তারা। সকালে স্কুলে বা মাদরাসায় গেলে, দুপুরে যান কলেজে। দুই প্রতিষ্ঠানেই পৃথক এমপিওভুক্ত। মাস গেলে বেতনও তুলছেন দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। এমন দ্বৈত চাকরি করা বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আট প্রভাষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

একই সঙ্গে তাদের এমপিও কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া এ আট শিক্ষককে ডাবল এমপিও করতে সহায়তা করায় ওই আট কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে মাউশি।

রোববার (১৩ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষ ও স্ব স্ব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। সোমবার (১৪ আগস্ট) মাউশির বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে কর্মরত আটজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বৈত চাকরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা স্কুল ও মাদরাসায় এমপিওভুক্ত থাকার তথ্য গোপন করে গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের সহায়তায় কলেজে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তাদের দ্বৈত চাকরির কারণে বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন কলেজে এমপিওভুক্ত হতে না পারা কিছু শিক্ষকের জমা দেওয়া স্কুল ও মাদরাসার এমপিও শিট পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর ১১.১৭ ধারা অনুযায়ী- দুটি প্রতিষ্ঠানে একই সঙ্গে এমপিওভুক্ত ও কর্মরত থাকা বিধিসম্মত নয়। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রত্যেকের একই সঙ্গে দুটি এমপিও ইনডেক্স চলমান থাকায় কেন তাদের এমপিও বাতিল করা হবে না এবং কেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

অভিযুক্ত ৮ শিক্ষক:
বরগুনার আয়লা কলেজের ইংরেজির প্রভাষক নিপা আক্তার, পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলা সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. সাইফুর রহমান, একই প্রতিষ্ঠানের ইংরেজির প্রভাষক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ভোলার চরফ্যাশনে দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের ইংরেজির প্রভাষক মো. সিরাজ ও ভোলার তমুজউদ্দিন উপজেলার তমুজউদ্দিন হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক বিক্রম চন্দ্র দাস।

পটুখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার হাওলাদার ফাউন্ডেশন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক আঁখি, দশমিনা উপজেলার ডা. ডলি আকবর মহিলা কলেজের ইসলামি শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক নুরুন্নাহার বেগম ও শরীরচর্চা বিষয়ের প্রভাষক মো. বেলাল হোসেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন