খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট:: হাতীবান্ধায় মোজাম্মেল হোসেন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল। তবে ওই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন অভিভাবক সদস্য। কিন্তু আদালতে অভিযোগকারী নিজেই জানেন না তিনি মামলার বাদী।
গত ৮ আগষ্ট মোজাম্মেল হোসেন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই দিনেই অভিভাবক সদস্য প্রার্থী রোহেল ইসলাম বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে লালমনিরহাট আদালতে একটি অভিযোগ করেন। তবে রোহেল নিজেই জানেন না তিনি বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন। এমনকি ওই অভিযোগে কোন স্বাক্ষরও করেনি বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, গত ৮ জুলাই উপজেলার মিলনবাজার মোজাম্মেল হোসেন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয় আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলকে। ওই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে লালমনিরহাট জেলা জজকোর্ট আদালতে যাচাই বাছাইয়ে বাতিল হওয়া প্রার্থী রোহেলের নাম ব্যবহার করে অভিযোগ করেন একটি মহল। তবে রোহেল জানান তিনি অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে রোহেল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন অভিযোগ করিনি। আর ওই অভিযোগ পত্রে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটিও আমি করি নাই।
এ বিষয়ে মিলনবাজার মোজাম্মেল হোসেন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, আমি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে যে অভিযোগ করেছে সে নিজেই জানে না যে সে অভিযোগকারী। তাই এই নির্বাচন স্থগিতের প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হোসেন আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়ম মাফিক কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আহমদ আহসান হাবীব বলেন, শিক্ষা নীতিমালার আলোকে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সকল শিক্ষক প্রতিনিধি ও সকল অভিভাবক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করা হয়। অভিভাবক প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম সভায় আবু বক্কর সিদ্দিকের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করলে সর্বসম্মতিক্রমে সভায় তা গৃহিত হয়। ওই সভায় সভাপতি হিসেবে আর কারো নাম প্রস্তাব করা হয়নি। যে কারনে সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বদ্বীতায় আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল নির্বাচিত হয়।