ঢাকারবিবার , ১৩ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইসির!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১৩, ২০২৩ ১২:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তাহমিনা আক্তার,ঢাকা:: বেফাঁস মন্তব্যে বারবার সমালোচনার মুখে পড়ছেন সিইসি> <বিতর্ক ওঠা দলই পেল ইসির নিবন্ধন> <নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকায় ভুঁইফোঁড় সংস্থা> <এমন কাজে আস্থা হারাবে ইসি: বিশেষজ্ঞ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সার্বিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া, নির্বাচন পর্যেবেক্ষক হিসেবে কারা কাজ করবেন সেসবও গুছিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি। কিন্তু দফায় দফায় বাছাইয়ের পরও ‘ভুঁইফোঁড়’ ও নামসর্বস্ব দল এবং সংস্থাকে চূড়ান্ত করার ঘটনায় জন্ম দিচ্ছে বিতর্ক। এছাড়া নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একাধিক বক্তব্য সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ফলে কোনোভাবেই যেন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ইভিএমে করার বিষয়ে মনস্থির করে। তবে দফায় দফায় চেষ্টা করেও সরকারের কাছ থেকে প্রকল্প পাস করাতে পারেনি। অবশেষে আর্থিক সংকটের কথা প্রকল্প প্রত্যাখ্যাত হলে শেষ পর্যন্ত ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। নতুন দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করল সংস্থাটি। অথচ এটা না করলে কোনো ক্ষতি হতো না। পত্রিকায় ফলাও করে সরেজমিন রিপোর্ট করেছে দলীয় লোকজন সংস্থা চালাচ্ছেন, অফিস নেই, সাইনবোর্ড ছাড়া কিছু নেই তারাও নিবন্ধন পাচ্ছে, তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এতে তো আস্থা কমবে।

ইসির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে তফসিল। এই নির্বাচনকে ঘিরেই এখন সব ব্যস্ততা। কারণ আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই কোনো প্রস্তুতির গ্যাপ রাখতে চাচ্ছে না ইসি।

তবে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়া এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা চূড়ান্ত করা নিয়ে বিতর্ক নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে নেতিবাচক বার্তা দেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। নতুন দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করল সংস্থাটি। অথচ এটা না করলে কোনো ক্ষতি হতো না। পত্রিকায় ফলাও করে সরেজমিন রিপোর্ট করেছে দলীয় লোকজন সংস্থা চালাচ্ছেন, অফিস নেই, সাইনবোর্ড ছাড়া কিছু নেই তারাও নিবন্ধন পাচ্ছে, তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এতে তো আস্থা কমবেই।

নাম সর্বস্ব দল বাছাইয়ে বিতর্ক শুরু::
আগামী নির্বাচনের আগে দফায় দফায় যাচাই বাছাই শেষে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বাংলাদেশ (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দল দুটির তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। দল দুটিকে অনেকে দেখছেন ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে। ইসি দল দুটিকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করার পর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

কারণ গত অক্টোবরে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৯৩টি দলের মধ্যে প্রাথমিক বাছাই শেষে আলোচিত দল গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ১২টি দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এই দুই দলের বিরুদ্ধে আসা কয়েকটি আপত্তি নিয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

বিএনএমের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা। আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুর রহমান বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। দলের সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। ২০২১ সালে গঠিত হয় দলটি।

শুরু থেকেই তাদের তৎপরতাকে বিএনপি নেতারা নির্বাচনকে সামনে রেখে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। গুঞ্জন আছে বিএনপির কেউ কেউ এই দলেও ভিড়তে পারেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগঘেঁষা একটি রাজনৈতিক জোটেরও চেয়ারম্যান। এই দলের কার্যালয় দখল করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ ইসিতে দিয়েছেন চেয়ারম্যানের ভাই। অবশ্য সে অভিযোগ কোনো কাজে আসেনি।

নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দলের কৌশলের অংশ হিসেবে এই দুই দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগও আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

এর আগে গত ১৬ জুলাই ইসি সচিব জাহাংগীর আলম দুই দলের প্রাথমিক নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাই শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই দলের ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটির তথ্যসহ সব তথ্য যথাযথ পাওয়া গেছে। বাকি ১০টি দলের ক্ষেত্রে মাঠের তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়।’

আইন অনুযায়ী, ইসিতে নিবন্ধিত না হলে কোনো দল দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। ইসিতে নিবন্ধিত হওয়ায় দল দুটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবে।

২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত শাসনামলে শামসুল হুদা কমিশন নবম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে। বর্তমানে নতুন দুটি দলসহ দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪।

যেভাবে দুই দলের শুনানি করে ইসি::
গত ৭ আগস্ট দুই দলের অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, প্রথমে শুনানি হয় বিএনএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে। দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী আলী নাসের খান বলেন, এই দলটির ২০ উপজেলার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব ভুঁইফোড় সংগঠনকে নিবন্ধন দিলে ভবিষ্যতে কমিশনকে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। কমিশন যদি এ রকম ত্রুটিপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর পন্থার একটি দলকে নিবন্ধন দেয়, তাহলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য দায়ী হতে হবে।

এ সময় উপস্থিত বিএনএমের নেতারা তাদের দলের নিবন্ধন পাওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।

এরপর বিএসপি ও দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের শুনানি করে ইসি। এ সময় বিএসপির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী মহসিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সাতজন এবং দলটির চেয়ারম্যানের ভাই অভিযোগকারী সৈয়দ শহিদ উদ্দীন ও আরেক অভিযোগকারী বাংলাদেশ শ্রমিক পার্টির (বিএসপি) নেতা জিলানী তিনজন অ্যাডভোকেটসহ উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিএসপির চেয়ারম্যানের সহোদররা তার বিরুদ্ধে পৈতৃক সম্পত্তি দখল, বিশেষ করে ঢাকা, কুমিল্লা, ফটিকছড়ি ও চট্টগ্রামের চারটি খানকা দখলের অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ শ্রমিক পার্টি (বিএসপি) বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি তাদের বিএসপি নাম ব্যবহার করে নিবন্ধন পাচ্ছে বলে অভিযোগ দেয়। এর জবাবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জবাব- নির্বাচন কমিশনে বিএসপি নামে নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল নেই। ফলে এ নামে আমাদের নিবন্ধন নিয়ে কোনো আপত্তি গ্রহণযোগ্য না।

বিএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মঈনিয়া সহিদিয়া মাইজভান্ডারীর মহাসচিব সৈয়দ শাহাদাত হোসেন সোহেল ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কেমনে কীভাবে নিবন্ধন দিল বুঝতেছি না। বসতবাড়ি দখল করে তারা কার্যামলয় করেছে। অভিযোগ দিয়েছি। আইনজীবীসহ শুনানিতে অংশ নিয়েছি। এরপরও দেখলাম নিবন্ধন দিয়েছে।’

যদিও সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ইসি সবদিক যাচাই করে নিবন্ধন দিয়েছে। এখন আমরা সামনের দিনে কীভাবে দল চালাব, নির্বাচনে অংশ নেব, এককভাবে লড়ব না জোট করব- সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

অন্যদিকে বিএনএমের সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করেছে। এখন যেহেতু প্রতীক পেয়েছি আগামীতে জোট করা বা এককভাবে নির্বাচন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

সাবেক এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘৩০০ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ঠিক করার কাজ করছি। আশা করি এককভাবে হলেও আমরা নির্বাচন করতে সমস্যা হবে না।’

পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা নিয়েও গণ্ডগোল::
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৬৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। ওইসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত তালিকায় থাকা সংস্থার কোনোটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। যেগুলো নিবন্ধন পাবে সেগুলো আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

ইসির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতবার ইসির তালিকায় থাকা ১১৮টি সংস্থার মধ্যে এবার ২৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। অবশ্য নতুন তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ ও ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামের দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা নেই।
তবে বেশিরভাগ পর্যটবেক্ষক সংস্থাই পুরোপুরি নামসর্বস্ব। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই নিজস্ব অফিস। যে কয়েকটির অফিস আছে সেগুলোও নামকাওয়াস্তে চলছে। কোথাও সাইনবোর্ড আছে অফিস নেই। কোথাও অফিসের ঠিকানায় খাবারের দোকান রয়েছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

অন্যদিকে কোনো রাজনৈতিক পদধারীর এসব সংস্থায় থাকার সুযোগ না থাকলেও পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ইসির তালিকায় থাকা অনেক সংস্থার প্রধানেরাই রাজনৈতিক দলের নেতাও।

তথ্য অনুযায়ী, শুধু যশোর জেলায় ডিপিসহ আটটি প্রতিষ্ঠান আছে পর্যবেক্ষকের তালিকায়। হিউম্যান রাইটস ভয়েস নামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ কে এম নুরুল আমিন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্যদিকে রাজশাহীর স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশনের (সেফ) নাম প্রতিষ্ঠানের প্রধান রুপন কুমার দত্ত রাজশাহী মহানগর তাঁতী লীগের সিনিয়র সভাপতি।

তালিকায় থাকা হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের নামের মোহাম্মদপুরের ঠিকানায় ‘যানজাবিল ফুড’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে ইসির আরও সতর্ক হয়ে অনুমোদন দেওয়া উচিত। না হলে ভোটার, রাজনৈতিক দল কেউ আস্থা হারাবে।’

আপনার মন্তব্য লিখুন