ঢাকাশনিবার , ১২ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে কৃষিতে বড় বিপ্লব ঘটিয়েছে সুন্দরগঞ্জ কৃষি বিভাগ!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১২, ২০২৩ ১:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার: উত্তরের জেলা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কৃষি ব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা প্রতিদিনের বাংলাদেশ’কে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাশিদুল কবির।

তিনি আরও বলেন, কৃষি নির্ভর সুন্দরগঞ্জকে এগিয়ে নিতে আধুনিক পদ্ধতিতে রোপণ কাজের জন্য রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে করে এ উপজেলার কৃষিতে ঘটবে বড় বিপ্লব। প্রান্তিক কৃষকরা কম খরচে চাষাবাদ করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে সময় যেমন বাঁচবে তেমনি বারবে ফসলের উৎপাদন।

সারাদেশের ন্যায় সুন্দরগঞ্জে বেড়েই চলেছে কৃষিতে শ্রমিক সংকট। বিশেষ করে ধান রোপণ ও কাটার মৌসুমে তীব্র আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় যন্ত্রের ব্যবহারও বাড়ছে সমান তালে। সনাতনী কৃষিকে স্মার্ট করতে এরই মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’র মাধ্যমে শুরু হয়েছে ধানের চারা রোপণ। এতে কম সময়ে বেশি জমিতে ধানের চারা রোপণে কমেছে কৃষকের সময়, শ্রম আর ব্যয়। ফলে স্বস্তি ফিরেছে প্রান্তিক কৃষকের মনে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিদিনের বাংলাদেশ’কে জানায়, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে ও গভীরতায় ধানের চারা রোপণ করা যায়। একজন শ্রমিক ঘণ্টায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতক জমিতে চারা রোপণ করতে পারেন। যন্ত্রটি ব্যবহার করতে ঘণ্টায় মাত্র আধা লিটার পেট্রোল প্রয়োজন হয়। ফলে জ্বালানি খরচও খুব কম। এছাড়া আছে নিয়ন্ত্রিত ও নিখুঁতভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে চারা রোপণ করার সুবিধা। নেই চারা নষ্ট হওয়ার কোনো আশঙ্কাও।

যন্ত্রটি ব্যবহার করলে বীজতলা তৈরির জন্যও আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির উঠানেই বীজতলা তৈরি করা সম্ভব। বৃষ্টির মধ্যেও খুব সহজে চারা রোপণ করা যায়। অত্যন্ত কম খরচ, শ্রম ও সময়ে বেশি জমিতে চারা লাগানো সম্ভব হওয়ায় কৃষকরা যন্ত্রটির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রংপুর বিভাগে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদ করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে উপজেলা কৃষি অফিস রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধানের চারা রোপণে সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে। এমনকি কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে ধান রোপণের পদ্ধতি প্রান্তিক কৃষকদের শেখাচ্ছেন।

কৃষকরা জানান, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণে কোনো ধারণা না থাকলেও এ নিয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চাষ করে শ্রমিক সাশ্রয়ী ও কম সময়ে বেশি ফলনে লাভবান হওয়া সম্ভব।

উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক নাহিদ মিয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশ’কে বলেন, ‘শ্রমিক সংকটে ধানের চারা রোপণে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে ২ হাজার ৩০০ টাকা শ্রমিকরা চেয়েছিল। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় কম খরচে কম সময়ে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে ধান রোপণ করেছি।’

কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘জমিতে ধানের চারা রোপণ করলে শ্রমিকের খরচ যদি ২ হাজার টাকা হয়, সেখানে এই মেশিন দিয়ে ধান রোপণ করলে খরচ হবে ৩০০ টাকা।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাশিদুল কবির মুঠোফোনে প্রতিদিনের বাংলাদেশ’কে জানান, শ্রমিক সংকটসহ নানা কারণে ধান আবাদ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারছেন না। শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়াই এর মূল কারণ। এ জন্য সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে স্মার্ট কৃষির উদ্যোগ নিয়েছে। যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোপণ ও মাড়াই করলে কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন। যন্ত্র কিনতে সরকার কৃষকদের আর্থিক সহায়তাও করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন