ঢাকাশনিবার , ১২ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বগুড়ায় চলছে মশারি ছাড়াই ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১২, ২০২৩ ৯:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জসিম উদ্দিন,বগুড়া:: বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ও হাসপাতালের অন্যান্য সাধারণ রোগীদের পাশেই মেডিসিন বিভাগের এক কক্ষে ৩২ জন ডেঙ্গু রোগীকে (পুরুষ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই থাকছেন মশারি ছাড়াই।

রোগীদের অভিযোগ, তাদের কাউকেই হাসপাতাল থেকে মশারি দেওয়া হয়নি। চার থেকে পাঁচজন রোগী বাড়ি থেকে মশারি নিয়ে এলেও গরমের অজুহাতে বেডেই গুটিয়ে রেখে দিয়েছেন। ফলে আক্রান্তদের থেকে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে কি না, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন অন্য রোগী ও স্বজনরা।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, অসংখ্য রোগী। সেখানে চিকিৎসাধীন স্কুলছাত্র সাদমান খান। তার মা নওগাঁ জেলা পরিষদের সদস্য জাকিয়া সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু শনাক্তের পর চারদিন আগে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বহুবার মশারি চেয়েও না পেয়ে বাড়ি থেকেই নিয়ে এসেছি। তবে বেডের ওপেরর ফ্যানের ক্যাপাসিটর নষ্ট। গরমে এমনিতেই থাকা যায় না, তাই বাধ্য হয়ে মশারি গুটিয়ে রেখেছি।’

হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ গ্রামের বাসিন্দা এরফান আলী বলেন, ‘তিনদিন হচ্ছে ভর্তি আছি। এখনো হাসপাতাল থেকে মশারি দেয়নি। স্ত্রী এখানে আমার সঙ্গে আছে। সেও আক্রান্ত হয় কি না ভয় হচ্ছে।’

একই উপজেলার রামেশ্বাপুর গ্রামের জাকারিয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে মশারি চেয়েও পাইনি। বাধ্য হয়ে মশারি ছাড়াই চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালের বাথরুম, দরজা-জানালা অনেক বেশি নোংরা। এতে আরও অসুস্থ হয়ে যাবো মনে হচ্ছে।’

মেডিসিন বিভাগে বারান্দায় একই বেডে পেটে সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন কাহালু পৌর এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ সেলিম মিয়া। তার সঙ্গে থাকা শ্যালক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের কারোর মশারি নেই। আমরা সবাই এখানে আতঙ্কে আছি।’

শজিমেক হাসপাতালে পুরুষ মেডিসিন বিভাগের বিপরীতে নারীদের জন্য আলাদা মেডিসিন বিভাগ। সেখানেও অন্যান্য রোগীদের পাশেই আলাদা এককক্ষে আটজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের মশারি সরবরাহ করা হলেও গরমের অজুহাতে তারা গুটিয়ে রেখেছেন। ফলে সেখানেও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে আছেন অন্যান্য রোগী ও স্বজনরা।

বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও রোগীরা মশারি টানানোর বিষয়ে উদাসীন বলে জানান চিকিৎসক ও নার্সরা। অন্য রোগীরা জানান, শুধু রাতের বেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তরা মশারি টানিয়ে ঘুমান।
Add 99998
হাসপাতালে ভর্তি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আক্রান্ত হয়ে সাতদিন ভর্তি ছিলাম। এখন সুস্থ। হাসপাতাল থেকে মশারি দিয়েছে, তবে গরমের জন্য দিনের বেলা ব্যবহার করি না।’

বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শজিমেক হাসপাতালে ১০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ছয়জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, পুরুষ বিভাগের রোগীদের মশারি না পাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আক্রান্তদের মশারি ব্যবহার করা অবশ্যই দরকার। সবাইকেই মশারি সরবারহ করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা সচেতন নয়।

তিনি বলেন, বারবার তাগিদ দেওয়া পরও তারা মশারি ব্যবহার করেন না। বিষয়টি আরও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া রোগীর বাড়তি চাপ না থাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য আলাদা ইউনিট চালু করা হয়নি। তবে সে বিষয়ে প্রস্তুতি আছে বলে জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন