দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন রায়। তিনি বলেন, সকালে ভোটের শুরুতেই দু-এক জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু সমস্যা হয়েছে। এর মধ্যে সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
ইউএনও জানান, নির্বাচনে পৌরসভার ১৭টি কেন্দ্রে ১০ জন ম্যাজিস্ট্র্রেটসহ প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ, দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক হাজার ৬০০ সদস্য। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে রাখা হয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্সও।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তাই শুরু থেকেই ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছিল। ভোটের শুরুতেই সংঘর্ষের এ ঘটনা সারাদিন ভোট প্রদানে প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, ১নং ওয়ার্ডে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা শুভ দাস।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের ৪৫ জন প্রার্থী। তারা দলের বিভিন্ন পদেও রয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সঙ্কট সমাধান তথা একক প্রার্থী নির্ধারণে একাধিকবার বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন গত ১০ ডিসেম্বর দলটির ৮ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও অন্যরা থেকে যান।
আওয়ামী লীগের বিপরীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিএনপির একক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া জামায়াতের তিন, জাতীয় পার্টির দুই ও স্বতন্ত্র দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভায় পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৯৮৬ জন। তিনটি সংরক্ষিত ও নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বুলবুল আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে সব প্রস্তুতি আছে। এখন প্রার্থীদের আচরণের ওপর নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।