ঢাকামঙ্গলবার , ১ আগস্ট ২০২৩
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডোমারে এনজিও’র নারী কর্মী হামলার শিকার!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
আগস্ট ১, ২০২৩ ১১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পঞ্চানন রায়, বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে এক নারী এনজিও কর্মীর ওপর হামলার হয়েছেন। প্রশিকার ফিল্ড কর্মী উর্মী হক কে ছুরিঘাতের (হাসুয়া দা) অভিযোগ উঠেছে জনক(২৮) নামে এক ঋণগৃহীতা সদস্যের বিরুদ্ধে। উর্মী হক প্রশিকা এনজিও’র বোড়াগাড়ী শাখার একজন ফিল্ড কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নওদাবস বাবুপাড়া গ্রামে। এঘটনায় প্রশিকা এনজিও’র বোড়াগাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে জনক রায়ের নামে উল্লেখ্য করে ডোমার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উর্মি হক কিস্তি আদায়ের জন্য বাবুপাড়া এলাকার গেলে জনক রায় নিজের বাড়ীর সামনে মটর সাইকেলসহ তাকে আটক করে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চায় । তাৎক্ষনিক সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে হাতে থাকা পাট কাটা হাসুয়া দা দিয়ে কোপ মারে। এতে উর্মি হকের ডান হাতের আঙ্গুলে লেগে রক্তাত্ত জখম হয়। খবর পেয়ে শাখা ব্যবস্থাপক ঘটনাস্থলে পৌছে ফিল্ড কর্মী উর্মি হককে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান এবং কিস্তি আদায়ের ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে।

এব্যাপারে জনক রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান , প্রশিকা থেকে আমি লোন গ্রহন করি এবং তা পরিশোধ করি। গত ঈদের ২০দিন আগে আমি নতুন লোনের জন্য ফরম করি। ঈদের আগে আমাকে লোন দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু না দিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। ঈদের পরে এনজিও কর্মী উর্মি আমাকে বলে আর লোন দেওয়া যাবে না।

পরে অফিস মাধ্যমে জানতে পারি আমার ফরম করা হয় নাই। পরে আমার সঞ্চের টাকা ফেরত চাইলে অফিসে যাইতে বলে। আমি গত সপ্তাহে অফিসে গেলে ম্যানেজার আমাকে আগামী সপ্তাহে আসতে বলে। আজ সোমবার আমি মাঠ থেকে এসে আমার বাড়ীর পাশে বৌদিদের সাথে কথা বলছিলাম।

এমন সময় আমার প্রতিবেশী এনজিও কর্মী উর্মি আসে। সঞ্চয়ে টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে থাপ্পর মারতে গেলে হাতে থাকা হাসুয়ায় লেগে আঙ্গুল কেটে যায়। ৫৫হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ওখানে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।

ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ ইন নবী বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন