মোঃ মামুনুর রশিদ মিঠু, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ ও স্থানীয়দের কাছে জানা যায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তার বড় ভাই গ্রাম পুলিশের সদস্য রফিকুল ইসলাম (৫৫) এর সাথে তার আরেক ভাই শাহিন মিয়া (৫০) এর।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন গত, ২৭ জুলাই সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তার সাথে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তাদের বড় ভাই গ্রাম পুলিশ রফিকুলের বাকবিতন্ডা হয়। এমন সময় উত্তেজিত হয়ে বড়ো ভাইয়ের হুকুমে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ওই গৃহবধূর ডান পায়ে লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।
তখন প্রতিবেশীরা ভুক্তভোগী গৃহবধূকে দ্রুত অটোযোগে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূ আন্জু বেগম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিন গিয়ে জানাযায় এর আগে আন্জু বেগমের ছেলে পাওনা টাকা চাইতে অশ্লীল ভাষায় কথা বললে স্থানীয় সুজন নামের এক ব্যাক্তি ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের নিকট তার ভাতিজার বিরুদ্ধে নালিশ করেন।
পরে বিয়ানি বাজার নামক স্থানে ভাতিজাকে মারপিট করেন ওই ইউপি সদস্য। এসময় তার ভাই সাহিন মিয়া ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলামের প্রানপতি তেলিয়াপাড়া গ্রামের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী বলেন মেম্বার অসুস্থ সে ঘুমে আছেন।
আরেক অভিযুক্ত বড়ো ভাই গ্রাম পুলিশের সদস্য রফিকুল ইসলাম, কুপিয়ে জখমের ঘটনা মিথ্যা দাবী করে জানান, ওই গৃহবধূ নিজের শরীর নিজে জখম করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।
আর এবিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।