১২ নভেম্বর সারা পৃথিবীতে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনের উদ্দেশ্য হল, নিউমোনিয়া রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় ফুসফুস। নিউমোনিয়া হলে কফ, জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশির সৃষ্টি হয়। ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরণের অণুজীবের কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে।
তবে আশাপূর্ণ ব্যাপার হল নিউমোনিয়ায় সহজেই সনাক্ত করা যায়। কিন্তু যদি সময় মতো চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি রোগীর জীবনকেও কেড়ে নিতে পারে। নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলি কখনও হালকা আবার কখনও গুরুতর হয়। কোনও ব্যক্তির বয়স এবং সংক্রমণ কতটা তার দেহে প্রবেশ করেছে তার উপরও নির্ভর করে। সাধারণত এই লক্ষণগুলি ফ্লুর মতো হয় তবে এগুলি ফ্লু-র চেয়ে অনেক বেশি সময় শরীরে থাকে।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ: নিউমোনিয়ার কারণে শ্বাস বা কাশি হওয়ার সময় বুকের ব্যথা হয়। ৬৫ বছরের বেশি ব্যক্তির ভ্রমও হতে পারে। কাশি, ক্লান্তি, জ্বর, ঘাম এবং শ্লেষ্মা হল নিউমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ। এছাড়াও রোগী বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত নানান সমস্যার মধ্যে পড়েন।
নিউমোনিয়ার কারণ: অনেক জীবাণু নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময় ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসগুলি প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে। সাধারণ ভাবে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেম এই জীবাণুগুলিকে ফুসফুসকে সংক্রামিত করতে বাধা দেয়। তবে কখনও কখনও এই জীবাণুগুলি এতটাই শক্তিশালী হয়ে যায় যে তারা আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিনষ্ট করে দেহে সংক্রামিত হয়।
কোন লোকেদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি: ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের এবং ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নিউমোনিয়া ভয়ংকর হতে পারে। এছাড়া দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি বা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এই রোগ সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর হতে পারে।
বাঁচার উপায়: নিউমোনিয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু ভ্যাকসিন রয়েছে। বিশেষত বাচ্চাদের নিউমোনিয়া টিকা নেওয়া উচিত। হাত ধুয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিৎ। ধূমপান ভয়ংকর হতে পারে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।