ঢাকাশুক্রবার , ১৩ নভেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বয়স থাকবে হাতের মুঠোয়, ত্বক হবে ঝকেঝকে!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ১৩, ২০২০ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাড়তি যত্নে শুধু এক চিমটে হলুদ…হলুদ ছাড়া মাছের ঝোল রাঁধা কঠিন। ডালেও হলুদ না দিলে নয়। পোস্ত, শুক্তোর মতো দু’একটা নিরামিষ রান্না ছাড়া অন্য তরি-তরকারিতে হলুদ দেওয়াটা আমাদের অভ্যাস। শুধু এই অভ্যাস যে স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী, সেটাই অজানা। কোনও ভাজাভুজি হোক বা কষিয়ে কোনও রান্না করুন, হলুদগুঁড়ো তাতে লাগবেই। আবার স্নানের আগে সামান্য একটু কাঁচা হলুদবাটা গায়ে ঘষে নিলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বেই।

ত্বকে ব্রণ বা তার দাগ সারায়

ত্বকের যে কোনও দাগ-ছোপ দূর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। আবার অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে হলুদ। তবে কাঁচা হলুদ ত্বকে সরাসরি না লাগানোই ভাল। কারও অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে। বরং হলুদের সঙ্গে দুধের সর বাটা, দই বা মূলতানি মাটি, ময়দা বা যে কোনও ফলের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে সবথেকে বেশি উপকার মিলবে। তবে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি প্রপার্টি থাকায় হলুদ রূপচর্চায় অব্যর্থ। হলুদ অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি হওয়ায় ত্বকের ক্ষত সারায়। অন্য দিকে ওপেন পোরসও বন্ধ করে। এর অ্যান্টিসেপটিক কোয়ালিটি ত্বকে ব্রণ বা তার দাগ সারায় তাড়াতাড়ি। ব্রণ কমাতে পাতিলেবুর রস, শসার রসের সঙ্গে হলুদ বাটা মিশিয়ে ব্রণর উপরে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে ব্রণ শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। আবার ব্রণ সারার পরে তার দাগ তুলতে এই প্যাকের সঙ্গে নারকেল তেল বা তিল তেল মিশিয়ে নিন।

ফাইন লাইনস বা বলিরেখা দূর

অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবেও হলুদ কাজ করে। এমনকি ডার্ক স্পট, ফাইন লাইনস বা বলিরেখা দূর করতে পারে হলুদের ব্যবহার। চোখের তলায় বা চারপাশে কালি পড়লে রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে চোখের চারপাশে হলুদ বেটে সেই রস লাগিয়ে শুতে যান। ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের পরিচর্যায় শুধু হলুদ মাখলেই চলবে না। উজ্জ্বল ত্বক ও সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত হলুদ খাওয়াও জরুরি। টারমারিক টি-ও শরীরের জন্য খুব ভাল। ৪ কাপ জলে ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে অল্প পাতিলেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। টারমারিক টি-ও বেশ উপকারী।

হলুদ দিয়ে ফেস মাস্ক

হলুদ দিয়ে ফেস মাস্কও বানাতে পারেন। এর জন্য দুধ, গোলাপজল, মধু ও হলুদ বাটা দিয়ে একটা প্যাক বানান। এটি স্নান করার আগে মিনিট কুড়ি মুখে মেখে অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন। ত্বকের মৃতকোষ তুলে ত্বক খুব ভাল এক্সফোলিয়েট করে হলুদ। তাই হলুদ বাটার সঙ্গে অল্প গোলাপজল ও বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি পরে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে সার্কুলার মোশনে ঘষে তুলে নিন। ফেশিয়াল হেয়ার বা আন্ডারআর্মসের হেয়ার গ্রোথ কমাতেও অনেকেই টারমারিক অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। এই তেলের বিকল্প হিসেবে হলুদ দিয়ে প্যাকও বানিয়ে নিতে পারেন। তার জন্য ১/৪ কাপ দুধ, আধ কাপ ময়দা, ২ টেবিল চামচ হলুদ বাটা ও ১ টেবিল চামচ সি সল্ট মিশিয়ে নিন। এ বার মুখের যেখানে রোমের রেখা, সেখানে এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। প্যাক শোকানোর জন্য মিনিট কুড়ি অপেক্ষা করুন। ঈষদুষ্ণ জলে আস্তে আস্তে ঘষে প্যাক তুলে ফেলুন। এতে ফেশিয়াল হেয়ারের গ্রোথ কমে যায়।

সানবার্ন থকে রক্ষা

কড়া রোদ ত্বকের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এর থেকেই সানবার্ন, পিগমেন্টেশনের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোদের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ রোদে বেরোতে হলে নিয়মিত হলুদ মাখতে পারেন। তার জন্য বেসনের সঙ্গে দুধ ও কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন।অনেকেই গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভোগেন। নারকেল তেলের সঙ্গে হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে গোড়ালিতে লাগালে চামড়া নরম হবে।

পোড়া দাগ দূর করে

রান্না করতে করতে হামেশাই তেল ছিটকে বা ঝোল চলকে পড়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অল্প একটু দুধ কিংবা ঠান্ডা দইয়ে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। তার পর সেটা শুকিয়ে গেলে আলতো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহ দু’য়েক হলুদ লাগাতে থাকলে পোড়া দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। মহারাষ্ট্র, গোয়ার দিকে খাবারে হলুদ পাতা ব্যবহার করা হয়। বেশ সুন্দর একটা অন্য রকমের গন্ধ আসে। সংরক্ষণের জন্যও হলুদ ব্যবহার করা হয়। পনীরে হলুদ মাখিয়ে রাখলে অনেক দিন ভাল থাকে। কীটনাশক হিসাবে হলুদ কাজে দেয় বলে বাড়ির দরজায় বা কোণে ফেলে রাখেন অনেকে।

চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পেও হলুদ লাগাতে পারেন নিয়মিত

শুধু ত্বকে ব্যবহার না করে চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পেও হলুদ লাগাতে পারেন নিয়মিত। হলুদে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ থাকায় মাথার স্ক্যাল্পের খসখসে ভাব, চুলকানি কমিয়ে স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। ফলে চুলের গ্রোথও ভাল হয়। তবে চুলে ব্যবহার করার জন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে হলুদ বাটার রস। নারকেল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে অল্প হলুদ বাটার রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। মিনিট পনেরো পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। রাতে ঘুমনোর আগে হলুদ দেওয়া দুধ খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। জীবনীশক্তি বাড়ানোর জন্য হলুদ চা খাওয়া যায়। চার কাপ জলে এক চা চামচ হলুদ দিয়ে মিনিট দশেক ফোটান। এবার মধু মিশিয়ে চুমুক দিন কাপে।

গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান

হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। কোনও ময়শ্চারাইজ়ার বা গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। ত্বকের মৃতকোষ তুলে ত্বক খুব ভাল এক্সফোলিয়েট করে হলুদ। কাঁচা হলুদের রস ৫ ফোঁটা থেকে শুরু করে বয়স অনুপাতে এক চাচামচ পর্যন্ত চিনি বা মধু মিশিয়ে খেলে লিভারের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। কফ জমে থাকলে, গলা ফোলা বা গলা জ্বালায় গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেনই। কারকিউমিনের অ্যাস্পিরিনের গুণের জন্য মানসিক অবসাদ দূর করতে কাজে আসে। এর প্রয়োগে ভাস্কুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের মাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। হলুদের অন্য এক উপাদান পলিফেনল চোখের ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকোস্টেরয়েডের কাজ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুন