পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী এলাকায় ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক মনোহরি অধিকারী নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পরে তিন লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে রফাদফা হয়।
আটক শিক্ষক মনোহরি অধিকারী আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ঘড়াডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি আগে থেকেই বিবাহিত। তার স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
এদিকে ওই ছাত্রী বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের নিশিকান্ত, বেহারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মনোহরি অধিকারী প্রেমের সম্পর্কের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। এ সময় অসামাজিক কাজেও লিপ্ত হতেন তারা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছিল।
প্রতিবেশী প্রদীপ জানায় মনোহরি মাস্টার দীর্ঘ দিন হতে এখানে গান শেখাতে আসতো, তাদের আচার আচরণ সন্দেহ জনক ছিল। এলাকায় তাদের নিয়ে নানা রকমের গুঞ্জন চলছিল। শনিবার মনোহরিকে আটক করে দুইদিন পর ৩ লাখ টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আপোষ হয়।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গোপনে প্রবেশ করে মনোহরি অধিকারী। বিষয়টিতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে গিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীরা শিক্ষক মনোহরি অধিকারী কে আটক করে ঝলই শালশিরী ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন। দুই দিন আটক থাকার পর বিষয় টি নিয়ে গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ঝলই শালশিরী ইউনিয়ন পরিষদে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহেদ ও ঝলই শালশিরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা হয়।
শিক্ষক মনোহরি অধিকারী জানান ৮/৯ বছর যাবত আমাদের সম্পর্ক, এমন যে করবে আমি ভাবতে পারিনি। তিন লাখ টাকা দিয়ে আপোষ করেছি।
রাধানগর ঘড়াডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান ঘটনা আমি শুনেছি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝলই শালশিরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি আপোষ হয়েছে।
রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহেদ বলেন যেহেতু মনোহরি অধিকারীর পুর্বের স্ত্রী সন্তান আছে, সেহেতু তিন লাখ টাকা দিয়ে আপোষ করে মনোহরি অধিকারী নিয়ে আসছি।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল আলম জানান, শিক্ষক মনোহরি অধিকারীর ঘটনার বিষয় শুনেছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।