ঢাকাবুধবার , ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিজয়ের দিনও রক্ত ঝরে কিশোরগঞ্জে!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ডিসেম্বর ১৬, ২০২০ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। লাল-সবুজে আঁকা একটি পতাকার জন্য দীর্ঘ ৯ মাস জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছে দামাল ছেলেরা। অবশেষে একাত্তরের ডিসেম্বরেই আসে সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয়। তবে সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিল কিশোরগঞ্জবাসী।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কিশোরগঞ্জের চিত্র ছিল ভিন্ন। এ দিন শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিল রাজাকার-আলবদরদের হাতে। সেদিনও কিশোরগঞ্জের আকাশে উড়ছিল পাকিস্তানের পতাকা। বিজয় দিবসেও রক্ত ঝরে এখানে। দিনভর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিল শহরবাসী। হানাদার বাহিনী শহর ছেড়ে পালালেও তাদের দোসররা গড়ে তোলে শক্ত ঘাঁটি। তবে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় রাজাকাররা। একদিন পর মুক্তির স্বাদ পায় শহরবাসী।

স্বাধীনতাবিরোধী হানাদার বাহিনী কিশোরগঞ্জ ছেড়ে যায় ১২ ডিসেম্বর। পরাজয় মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী। তারা শক্ত ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান নেয় শহরের। ১৬ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জবাসীর মধ্যে ছিল না বিজয়ের আনন্দ।

জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখেন মুক্তিযোদ্ধারা। রাতে কোম্পানি কমান্ডার কবীর উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শহরের উপকণ্ঠে সতাল এলাকায় অবস্থান নেয়। বিভিন্ন দিক দিয়ে শহরের আসতে থাকেন গেরিলা যোদ্ধারা। অবস্থা বেগতিক দেখে আত্মসমর্পনের প্রস্তাব দেয় রাজাকার বাহিনী।

১৭ ডিসেম্বর সকালে কবির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন। অন্যদিক দিয়ে আসেন আব্দুল হান্নান মোল্লাসহ বিভিন্ন সেক্টরের যোদ্ধারা। শহরের পুরানথানা শহীদি মসজিদ সংলগ্ন ইসলামীয়া ছাত্রাবাস মাঠে এবং সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করে রাজাকার-আলবদর বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আব্দুল গণি জানান, জেলার অন্যান্য এলাকা স্বাধীন হলেও রাজাকার বাহিনী শহরে অবস্থান নেয়ায়, আমরা সমূহ ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় কিছুটা ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করি। ১৭ ডিসেম্বর শহরের চারপাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এগোতে থাকলে অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমেদের কাছে আত্মসমর্পনের প্রস্তাব পাঠায় রাজাকাররা।

রাজাকার বাহিনী আত্মসমর্পণের পর মুহূর্তেই বদলে যায় দৃশ্যপট। বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে চারপাশ। চারদিকে জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত। পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে উড়ানো হয় স্বাধীন দেশের পতাকা। এভাবেই বিজয় দিবসের একদিন পর মুক্তির স্বাদ পায় কিশোরগঞ্জবাসী।

আপনার মন্তব্য লিখুন