স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে। পদ্মার তীরে গেলেই দেখা যায় পিলারের দীর্ঘ সারি। তার উপর একে একে বসানো ইস্পাতের ৪১টি স্প্যান। পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয়েছে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। এর মাধ্যমে পুরোপুরি দৃশ্যমান হল ৬ হাজার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি।
বাংলাদেশের এই সাফল্যের খবর দেশের পাশাপাশি চীনের গণমাধ্যমেও প্রচার করা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ঢাকার চীনা দূতাবাস এ কথা জানায়। ঢাকার চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (সিসিটিভি) একটি প্রতিবেদন শেয়ার করা হয়েছে।
সিসিটিভির এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর চিত্র দেখানো হয়েছে। সেতুর দুই পাশে শেষ স্প্যানটি ক্রেন দিয়ে কীভাবে বসিয়ে দেওয়া হলো, সেটা তুলে ধরা হয় এতে।
চীনা দূতাবাস এক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক নির্মাণাধীন সেতুটির জলের ওপরের ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল কাঠামোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলো।
স্প্যান স্থাপনের পর সেতুর ডেকের (সড়ক পথ) কাজ শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে এটি আগামী বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে। ততদিনে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা ও ঢাকার মধ্যে ফেরী পারাপারের ইতিহাস চিরতরে সমাপ্ত হবে৷
ঠিক সাত থেকে আট ঘন্টায় নদী পার হওয়ার সময়টা ১০ মিনিটে নেমে আসবে। ৮০ মিলিয়নেরও বেশী লোক এই সেতুটি দ্বারা উপকৃত হবে।