রংপুরের বদরগঞ্জে চাঁদাদাবি করে না পাওয়ায় এরিষ্টোফার্মার সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ রেজাউল করিমকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করার অভিযোগে দুই আসামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রংপুরের ভারপ্রাপ্ত স্পেশাল জজ মোঃ শাহিনুর এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় দুই আসামী পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম খ্যাতনামা ঔষধ কোম্পানী এরিষ্ট্রোফার্মায় সেলস রিপ্রেজেনটিটিভ হিসেবে চাকুরী করতো। চাকুরীর সুবাদে তাকে প্রায়শই বদরগজ্ঞে যেতে হতো। আসামী মোশারফ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম শফি তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তা নালে তাকে বদরগজ্ঞে ঔষধ বিক্রি করতে দেবেনা বলে হুমকি দেয়। সে টাকা দিতে অস্বিকার করলে তাকে দেখে নেবার হুমকি দেয় আসামীরা। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে আসামীরা রেজাউলকে ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফরিদা পারভীন বাদী হয়ে বদরগজ্ঞ থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। বাদীর বাড়ি জামালপুর জেলার মেলানদহ উপজেলার চর ঘোষের পাড়া গ্রামে। তার স্বামী নিহত হবার খবর শুনে বদরগজ্ঞ থানায় এসে মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে এস আই সরেশ চন্দ্র দুই আসামীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারায় চার্জসীট দাখিল করে। মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী মোশারফ হোসেন ও শফিকুল ইসলামকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করার রায় প্রদান করেন। আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় প্রদান করা হয়। বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন আসামীরা গ্রেফতার হবার পর এ রায় কার্যকর হবে।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি জয়নাল আবেদীন অরেঞ্জ এ্যাডভোকেট। তিনি জানান এ রায়ে আমরা সন্টষ্টি প্রকাশ করছি আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
অন্যদিকে আসামী পক্ষে ষ্টেট ডিফেন্স হিসেবে ছিলেন আরিফুল হক বসুনিয়া এ্যাডভোকেট তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।