মাশরাফির ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে লড়বে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা খুলনা। জয় পেলেই প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে কোয়ালিফাই করার হাতছানি দু’দলের সামনেই।
ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম। ফলে মাশরাফিকে বল হাতে দেখতে অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত।
সর্বশেষ গত মার্চে বাইশ গজে নেমেছিলেন মাশরাফি। ১৬ মার্চ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র ম্যাচটি খেলেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি হিসেব করলে মাশরাফির শেষ ম্যাচ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে বিপিএল খেলেছিলেন। ওই টুর্নামেন্টে ১৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
যদিও অক্টোবরেই প্রেসিডেন্টস কাপে খেলার সম্ভাবনা ছিল মাশরাফির। কিন্তু ১৮ অক্টোবর মিরপুরের মাঠে রানিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় ছিটকে যায় মাশরাফি। পরে আবার চোট কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফেরার সম্ভাবনা দেখা দিলেও ইনজুরির কারণে শুরুতে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিল না তার নাম।
ইনজুরিমুক্ত হওয়ার পর মাশরাফিকে নিয়ে আগ্রহ দেখায় ৪ দল- ফরচুন বরিশাল, বেক্সিমকো ঢাকা, জেমকন খুলনা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। একাধিক দল আগ্রহ প্রকাশ করায় লটারির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে মাশরাফির দল প্রাপ্তি। লটারি ভাগ্যে জিতে মাশরাফিকে পেয়েছে জেমকন খুলনা। এমনিতেই মাহমুদউল্লাহ-সাকিবকে নিয়ে দারুণ দল গড়েছে খুলনা। লটারিতে মাশরাফিকে পেয়ে যেন সব আলো তাদের দিকেই পড়েছে।
চট্টগ্রাম একাদশ:
মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), শামসুর রহমার শুভ, মাহমুদুল হাসান জয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, জিয়াউর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রাকিবুল হাসান ও শরীফুল ইসলাম।
খুলনা একাদশ:
সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, শুভাগত হোম চৌধুরী, আলআমিন হোসেন, জহুরুল হক অমি, জাকির হাসান (উইকেটরক্ষক) শামীম পাটোয়ারি, আরিফুল হক, হাসান মাহমুদ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা।