ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫ নভেম্বর ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অপুষ্টি দূরীকরণের ব্যবহারিক বিদ্যার উদ্ভাবন করেছেন ডাঃ আজমল হক

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ২৫, ২০২১ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মামুনুর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
যে দেশের মাটিতে সব ধরনের খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে আর হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে প্রত্যেক মৌসুমে বৈচিত্র্যময় শাকসবজি ও ফলের সমাহার। সে দেশের মানুষ কেনো পুষ্টিহীনতায় ভুগবে! তাই পুষ্টি ট্রে উদ্ভাবন করেছেন, ডাক্তার আজমল হক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন স্বীকৃতি।

কোনো এফসিপিএস ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতেই দেখা যাবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেবু,ডাল, মশলাসহ নানা মৌসুমী শাকসবজি। ভাবতে একটু অবাক লাগলেও লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজমল হক এর রোগী দেখার কক্ষে মিলবে এমন চিত্র।

পুষ্টিকর সকল সহজলভ্য খবার গুলো টেবিলে সাজিয়ে নাম দিয়েছেন পুষ্টি ট্রে।
গর্ভবতী মা শিশু-কিশোর ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি জ্ঞান বাড়াতে এ কৌশল অবলম্বন করেছেন ডাক্তার আজমল হক। সন্তুষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরাও।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা গর্ভবতী মায়েদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডাক্তার আজমল হক তাঁর উদ্ভাবিত পুষ্টি ট্রে সম্পর্কে রোগীদের যে ধারণা দিচ্ছেন তা সেবা নিতে আসা সকলের মনের মাঝে গেঁথে যাচ্ছে যা লিফলেট ব্যানার এর মাধ্যমে সম্ভব নয়।

পুষ্টি ট্রের মূলমন্ত্র হচ্ছে মৌসুমী শাকসবজি কিনব, মৌসুমী ফল খাব, দূর করবে অপুষ্টি, দূর হবে কুসংস্কার, দিবে পুষ্টির সমাধান, হবে মজবুত আর্থ সামাজিক অবস্থান।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পুষ্টি ট্রের উদ্ভাবক ডাক্তার আজমল হকের উদ্ভাবিত পুষ্টি ট্রে, শোকেসিং ওয়ার্কশপে সারাদেশে স্কেল আপের জন্য দুইটি উদ্যোগের মধ্যে স্থান পায়।

ডাক্তার আজমল হক বলেন, দিনাজপুরে কর্মরত থাকা অবস্থায় উদ্ভাবন করেন এই পুষ্টি ট্রে।
এর মাধ্যমে বিশেষ করে গ্রামের গর্ভবতী মায়েদের যে ধারণা, বিভিন্ন খাবার খেলে রোগ হয়, এসব নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কারও রয়েছে তা দূর করতে আমরা বিভিন্ন ফ্লিপ চার্ট, বিলবোর্ড, ইত্যাদি দিয়ে যখন তাদের বোঝাতে পারছিলাম না তখন এই ভাবনা টি আসে। তখন থেকেই কাজ করছি। তবে গ্রামগঞ্জে থেকে সেবা নিতে আসা হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেন বলে আশা করি।

ডাক্তার আজমল হকের উদ্ভাবিত পুষ্টি ট্রের মূলমন্ত্র গেঁথে যাবে মানুষের মনে আর ধনী-গরীব সকলেই পাবে এ উদ্ভাবনের সুফল এমনটা আশা সকলের।

আপনার মন্তব্য লিখুন