রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের বদরগঞ্জে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় আয়মনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনে রাতে বাড়ি থেকে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার তহিদার রহমান (৩২) হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বদরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তহিদার রহমান। এর আগে সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে তাকে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তহিদার বদরগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বরকতপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
এদিকে তদন্তের স্বার্থে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য দুই ঘাতকের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। আয়মনা বেগম একই এলাকার আবেদ আলীর মেয়ে।
পুলিশ সূত্র জানায়, দুই সন্তানের জননী আয়মনার সঙ্গে তার স্বামী রাশেদুলের প্রায় দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর নানির বাড়ি এলাকার পূর্বপরিচিত তহিদার রহমানের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জেরে গত শুক্রবার রাতে তহিদার রহমান মোবাইলে আয়মনাকে নানির বাড়ি থেকে বাইরে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে ছিল তহিদারের অন্য দুই বন্ধু। এক পর্যায়ে আয়মনাকে জোর করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন তারা।
পরে গলায় রশি বেঁধে বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে একটি সজিনা গাছের ডালে তাকে ঝুলিয়ে দেয়া হলে রশি ছিঁড়ে মরদেহটি মাটিতে পড়ে যায়। শনিবার দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আয়মনার ভাই জাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।