ঢাকামঙ্গলবার , ২৭ জুলাই ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্বশুর বাড়িতে প্রবাসীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুলাই ২৭, ২০২১ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের শার্শা উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে মালয়েশিয়াফেরত এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের স্বজনরা অভিযোগ করছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

সোমবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত নিহত শরিফুল ইসলামের (৩৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে ছিল বলে জানান উপজেলার সামটা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া।

নিহত শরিফুল ইসলাম শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের হানেফ মোড়লের ছেলে। তার শ্বশুর আবুল হোসেন হোসনার বাড়ি একই জেলার অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা শাহিনপাড়া গ্রামে।

শরিফুলের স্ত্রী শিল্পী বেগমের দাবি, রোববার গভীর রাতের কোনো এক সময় তার স্বামী ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তবে শরিফুলের বাবা হানেফ মোড়ল অভিযোগ করে বলেন, ‘ছেলে বিদেশ থেকে বউয়ের কাছে টাকা পাঠাতো। দেশে এসে পাঠানো টাকার হিসেব চাইলে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে অশান্তি লেগে থাকতো। আর শরিফুল বিদেশ যাওয়ার পর শিল্পী তার বাবার বাড়ির এলাকায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ওই টাকা হাতাতে এবং পরকীয়া পাকাপোক্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবেই আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।’

নিহত শরিফুলের মা সামছুন্নাহার সামু ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন আর প্রলাপ করছেন। সামু বলেন, ‘আমার ছেলে কালকে (রোববার) শ্বশুরবাড়ি গেল। ও আত্মহত্যা করতি পারে না। ওরা বালিশ চাপা দিয়ে মেরেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

শরিফুলের মামা আকবর আলী বলেন, ‘আমার ভাগ্নে ১৭-১৮ বছর মালয়েশিয়ায় ছিল। গত বছরের আগস্ট মাসে সে দেশে ফিরেছে। করোনার কারণে আর যেতে পারেনি। ওখান থেকে বউয়ের কাছে টাকাসহ ১০ ভরি স্বর্ণ পাঠায়। এসব নিয়ে সে বাবার বাড়ি চলে যায়। সে বউ আনার জন্যেই গেল। আমরা সেখানে লাশ আনতে গেলে বাড়িতে কাউকে পাইনি। তারা আমাদের দেখে সবাই পালিয়েছে।’

এদিকে অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। এটি আত্মহত্যা না হত্যা সেটি এখনই বলা সম্ভব না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন