নিজস্ব সংবাদদাতা।। লালমনিরহাটে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ৩ দিন পর বড় ভাই অভিযোগ করেছেন তার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুলাই) সকালে, লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে, জেলা সদরের খুনিয়াগাছ গ্রামের শাহার আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ ( ৪৫ ) ঐ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদের ছোট ভাই আব্দুল জলিল গত ২২ জুলাই রাতে মারা যান।পরিবারকে না জানিয়ে তরিঘরি করে লাশ দাফন সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হয়। পরে বড় ভাই আব্দুর রশিদ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে দেখতে পান তার ভাই আব্দুল জলীলের মরদেহ গোসল করিয়ে দাফনের জন্য রাখা হয়েছে। আব্দুর রশিদ তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন তার ভাইয়ের নাক ও দেহের পিছনের অংশে রক্ত ঝরতে দেখেন।
লিখিত ঐ অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম (২৭) ও শহরের তিন দিঘী মাঝাপাড়া বাজারের ঔষধ ব্যাবসায়ী রমজান আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী (২৮) এর মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আর তারই জেরে বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদও হয়েছে জলিল ও মমিনা দম্পতির মাঝে। জলীলের স্ত্রী মমিনা, প্রেমিক রব্বানী ও ভাই আশরাফুল ইসলাম (৪০) গত ২২ জুলাই রাত ১২টা থেকে রাত ২ টার মধ্যে জলিলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
সরেজমিন ঐ এলাকায় ২৬ জুলাই (সোমবার) দুপুরে গেলে স্থানিয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য লক্ষ করা যায়।
অভিযুক্ত মমিনা’র কাছে ঐ রাতে কি হয়েছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে বাড়িতে আশার পর তাকে খাইতে বলি কিন্তু সে না খায়া শুয়ে পরে। তার কাছে কয়েকজন টাকা পাইতো তাই সে খুব চিন্তায় ছিলো। আমি পাশের বিছানায় দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে ঘুমাই। ফজরে নামাজ পড়তে উঠে বাইরে থেকে আশি তাকে ডাক দেই সে কোনো সাড়াশব্দ না করলে আমি চিল্লানী দিলে আশপাশের লোকজন চলে আশে। পরে জানতে পাড়ি সে মারা গেছে। পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, তার ভাশুর আব্দুর রশিদ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কথিত ওই পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। মানুষকে সেবা দেওয়াই তার কাজ। তিনি মৃত আব্দুল জলিলের দাফনের আগে গোসল দিয়েছেন। এটাই তার অপরাধ। তাই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম বলেন, অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়েছে। আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না।