“” শেষ চিঠি “”
✍*লেখা মন্ডল*
তোমার শেষ চিঠিটা পেলাম,
তবে ডাকে নয়, হাতে হাতে।
বন্ধন ছেঁড়ার বাঁশরি বাজায়ে তুমি গেলে চলি,
সহসা ঝাপসা হল মোর আঁখি।
কৌতুহল ভরে খামটা দেখি খুলে,
সবটাই শেষ, নাকি কিছু বাকি রেখে গেলে?
চলেই যদি যাবে, তবে কেন এলে ?
নিষ্ঠুর হে, মোরে কোন্ অপরাধে ত্যজিলে?
রামধনু মিলিয়ে গেছে মহাশূন্যে,
বৃষ্টি ভেজা আকাশ, আজ ভরা সাদা রঙে ।
প্রেমের সুবাসে আমোদিত তোমার হাতের লেখা,
নীল খামে ভরা দু’টি হৃদয়ের ব্যাকুল অনুভবে ভাঙনের কথা।
মিলন- সম্ভোগের কথা নেই ,
আছে নীল রঙে আঁকা নীলকন্ঠের সুধা,
চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নেই,
আছে রক্তাক্ষরে লেখা প্রণয়ে ব্যথা।
ক্ষণে ক্ষণে শিহরে হিয়া, স্মরণে মধুর বারতা,
সুখী-দ্বীপের বাসিন্দা হবো, দিয়েছিলে কথা।
চিত্ত মগন আজি পুলক বেদন রাগে,
জীবন-প্রদীপ বিলায়ে জগত-মাঝে।
পর্ণমোঢী শাখে মৌসুমী বায়ু দোলে,
বিচ্ছেদের কান্না হৃদয়-পত্রপুটে।
আমার ছিল ভেবে কেটেছে কাল,
আদৌ ছিল না আমার, ছিল ভাবনার মায়াজাল।
ব্যর্থ জীবনের বাস্তব সত্যের কাঠিন্য ভরা সযত্নে লালিত অধ্যায়,
পুষ্পিত গন্ধে কুঞ্জে কুঞ্জে সৌরভে সৌরভিত আনন্দময়।
মিলনমেলা ভেঙে গেল যবে,শুনো হে যাযাবর সখা,
তোমার চিঠির উত্তর- — আমার অন্তর্নিঃসৃত প্রেমময় কাব্য কথা।
বসন্ত বাতাসে নব নব ফুলদলে
কাটুক তোমার বেলা পুলকে পুলকে।
ভালো থেকো , ভুলে যেও রুক্ষ বৈশাখীর দহন তাপ,
ক্ষমার প্রশান্তিতে করেছি ক্ষমা , মনে নেই কোন সন্তাপ।