আনিসুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার : দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ৪৫টি বছর। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মারণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন টের পেলো তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় গ্রামের মংগা মামুদের মেয়ে ছামেনা বেগম। জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।
চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন ছামেনা বেগম।
তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি,আমি বাঁচতে চাই আমাকে বাঁচান।
ছামেনা বেগমের স্বামী থকেও নেই, অন্য কোথাও বিয়ে করে বেধেছে সংসার প্রায় ৭ বছর আগে।অসুস্থ শরীর নিয়ে ছামেনা বেগমের জীবন কাটে বাবার বাসায়।স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই।
অসুস্থ ছামেনা বেগমের ভাগিনা মোসারফ হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে বলেন,২০১৯ সালের মে মাসে,আমার খালা অসুস্থ হয়ে পড়লে রংপুর প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ এর, ড. মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম দেখাই। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন তার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।ছামেনা বেগমকে দ্রুত ডায়ালাসিস করতে হবে তা না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না। এলাকাবাসী যখন হাট বাজার কালেকশন করে টাকা জোগাড় করে দেয় তখন কোন রকমই ড,দেখানো হয়।ছামেনা বেগম বলেন, দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
নিরূপায় হয়ে ছামেনা বেগমকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার। তিনি মাটি কাটার কাজ করে জীবন নির্বাহ করতেন।
ছামেনা বেগমের ভাগ্নে বলেন,আমরা দিনমজুর পরিবার।জায়গা জমি নেই, নানার বাড়ি থাকি।আমার সহায় সম্বলহীন খালাকে সাহায্য করার মত অবস্থা আমাদের নেই। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার খালাকে আপনারা সাহায্য সহযোগীতা করে বাঁচিয়ে তুলুন।আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা সহযোগিতা করে পাশে থাকলে খালা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেই।
ছামেনা বেগমকে সাহায্য পাঠানোর ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন
প্রয়োজনেঃ 01785690371 & 01827729129
( বিকাশ / পারসনাল/ ছামেনা বেগমের ভাগ্নে)