ঢাকাবুধবার , ১৬ জুন ২০২১
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুন্দরগঞ্জে অধিকাংশ বয়স্কভাতার টাকা অচেনা নম্বরে! দায় নেবে কে?

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
জুন ১৬, ২০২১ ২:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শফিকুল ইসলাম অবুঝ,নিজস্ব প্রতিবেদক।। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগী অধিকাংশদের ভাতার টাকা রহস্যজনক ভাবে ভুল নাম্বারে গিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে, উপজেলার ৪৫ হাজার সুবিধাভোগীর অধিকাংশদের ভাতার টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। যার কারণে এসব অসহায় বয়স্ক বৃদ্ধ,বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধীর চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। যতদিন তারা ব্যাংকে গিয়ে তাদের ভাতার টাকা তুলেছিলেন ততদিন তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। সরকার যখন তাদের হয়রানি কমানোর জন্য সেবা দোরগোড়ায় পৌছানোর চেষ্টা করছেন তখন এক শ্রেণীর অসাধু মহল তাদের প্রতারণা ফাঁদে ফেলিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার ভাতার টাকা।

 

সমাজসেবা অফিসের কথামত নগদ একাউন্টধারী মোবাইল নাম্বার দেয়া হলেও রহস্যজনক ভাবে ভাতার ৩ হাজার ৪৮টাকা অচেনা-অজানা ভুল নাম্বারে চলে গেছে। যা মোটেও বিশ্বাস যোগ্য নয়। কেন না সমাজসেবা অফিসের পক্ষ থেকে ওই সমস্ত নগদ একাউন্ট খুলে দেয়া হয়। তাছাড়া প্রত্যেক সুবিধাভোগী তাদের নাম্বার নিজ নিজ ভাতা পরিশোধ বহির উপর লিখে জমা দেন। তাহলে এসব ভুল হয় কি করে? রামজীবন ইউনিয়নের সূর্বণদহ গ্রামের মৃত ইসমাইল গেন্দলার ছেলে বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগী আজহার আলী বলেন,বাহে মুই নগদ একাউন্ট হিসেবে ০১৭৮৮-৪৫০৬০৭ নাম্বার দিছনু। অথচ মোর টাকা ঢুকছে ০১৭৫৯-০২৭০৪৩ নাম্বারে। একই এলাকার মৃত আকাব্বর আলীর স্ত্রী ফমিনা বেওয়া জানান, মুই ০১৭০১-৯২৫৪৫৩ নম্বর বইয়ের উপরত লেখি দিছম। আর মোর ট্যাকা বোলে ০১৬২৩-৬৫৭৯৫৭ নম্বরত গেইছে। ফোন দিলি ওগল্যা কিবেন কিবেন কয় মুই বোঝমে না। এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অনেকের ধারণা যেসব ভুল নাম্বারে টাকা গেছে।  সেগুলো সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজস্ব আত্নীয় সজনের নাম্বার বলে অভিযোগ উঠেছে। তা না হলে এত ভুল হওয়া মোটেও সম্ভব নয়। তারা আরও মনে করে তাদের কল ট্রাক করলেই ধরে জানা যাবে।

 

এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার গৌতম কুমার বিশ্বাসের কাছে এসব অসঙ্গতির তথ্য চাইলে তিনি  দিতে অস্বীকার করে বলেন, এর দায় নগদ কর্মীদের।

পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কিছু সুবিধা ভোগীর সমস্যা হয়েছে। আমি সংশিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। একারণে সবার মাঝে নানা রকম কৌতুহল দেখা দিয়েছে তাহলে এসব ভুল কি সত্যিই অসহায় বয়স্ক ও নিরহ প্রতিবন্ধীদের! তা যদি না হয় তাহলে আসলে এর দায় নেবে কে!

আপনার মন্তব্য লিখুন