ঢাকারবিবার , ২৯ নভেম্বর ২০২০
  1. Covid-19
  2. অপরাধ ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ডেস্ক
  6. কৃষি ও অর্থনীতি
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. দেশজুড়ে
  11. নির্বাচন
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. ভিডিও গ্যালারী
  15. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনগণ আমার পরিবার: একান্ত সাক্ষাৎকারে জয়নাল আবেদিন!

প্রতিবেদক
প্রতিদিনের বাংলাদেশ
নভেম্বর ২৯, ২০২০ ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ: নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসতেছে, ততই গরম হয়ে উঠতেছে রাজনীতির মাঠ। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত – পথে ঘাটে চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২নং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব শিবরাম এর মেম্বার (ইউপি সদস্য) পদে পদপ্রার্থী মোঃ জয়নাল আবেদিন।

জয়নাল আবেদিনকে ঘিরেই সর্বত্র চলছে আলোচনা। এলাকাবাসীর দাবি এবারের নির্বাচনে (পূর্ব শিবরাম) ৫নং ওয়ার্ড এর মেম্বার হিসেবে জয়নাল আবেদিনের কোন বিকল্প নেই। ঘোষিত এবং অঘোষিত বিভিন্ন ধরনের সেবার মানসিকতা নিয়ে আসন্ন ২নং সোনারায় ইউনিয়নের (পূর্ব শিবরাম) ৫ নং ওয়ার্ডে একজন মেম্বার হিসেবে ওয়ার্ডবাসীর সমর্থন এ যুবককে আরও উজ্জীবিত করবে বলে এলাকার বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।

একান্ত সাক্ষাৎকারে কিছু প্রশ্নের মুখোমুখিতে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে মোঃ জয়নাল আবেদিন জানান,আমি নির্বাচনে নবীন। তবে ইতিহাসে সাক্ষী আছে যে- নবীনরাই ইতিহাস সৃস্টি করে। আমি স্বপ্ন দেখেছি, পূর্ব শিবরামবাসী সুযোগ দিলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো এবং দেখিয়ে দেবো আমরা নবীনরাও পারি। বয়স মূল কথা নয়, কাজের ইচ্ছা শক্তি ও সঠিক পরিকল্পনাই মূল কথা। যদি সঠিক পরিকল্পনা সামনে রেখে নিবেদিত প্রাণে কাজ করা যায়, তবেই সম্ভব। জনগণ আমার পরিবার। জনগণের দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়।

প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার ইচ্ছা কেন?
জয়নাল আবেদিনঃ সোনারায় ইউনিয়নের (পূর্ব শিবরাম) ৫ নং ওয়ার্ডবাসীর কাঙ্খিত দাবী ইতিপূর্বে নির্বাচিত কোন মেম্বার পুরোপুরিভাবে পূরন করতে পারেননি। এতে জনগণের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের দুরত্ব বেড়েছে। জনগণ ভাত-কাপড় চায় না। জনগণ সুখ-দুঃখে জনপ্রতিনিধিদের পাশে পেতে চান। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সাথে দীর্ঘদিনের পথচলা আমার। আমি জানি তারা কি চান। তাই আমি তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হতে চাই।

প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ জনসাধারণ এ নির্বাচনে কি রকম সাড়া দিচ্ছে ?
জয়নাল আবেদিনঃ তৃণমুল পর্যায়ের জনসাধারনের ক্ষুদ্র সেবক হয়ে দীর্ঘদিন যাবত পাশে আছি এবং আগামীতে থাকবো। ওয়ার্ডবাসী তথা জনগণ আমার পরিবার। তাদের সুখ-দুঃখ ঘিরে আমার রাজনীতির জীবন। তাদের সাথে অনেক আগেই আমি নির্বাচন বিষয়ে কথাবার্তায় সমর্থন ও সাড়া নিয়ে এ নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। এলাকার মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো আমার সাথে আছেন।

প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডবাসীর কি কি উন্নয়ন করবেন?
জয়নাল আবেদিনঃ প্রথমে কৃষক, মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবো। এলাকাবাসীকে সংগে নিয়ে একটি উন্নত যোগাযোগ ও বাসযোগ্য আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে আপনার ভুমিকা কি হবে?
জয়নাল আবেদিনঃ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা করার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল সর্ম্পকে প্রতিটি সভা-সমাবেশে আলোচনা করা হবে। আমি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনগণকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানাই। ইভটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আপনার/আমার ভাই-বোন হতে পারে। তাই তাদের সাথে খারাপ আচারণ বা ঘৃনা না করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হবে। ৫ নং ওয়ার্ড হবে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত।

প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ ভোটারদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
জয়নাল আবেদিনঃ আমাদের ৫ নং ওয়ার্ডবাসী মানুষরা খুবই সহজ-সরল ও শান্তিপ্রিয় । এ ওয়ার্ডে মুসলিম, হিন্দু সম্প্রিতির বন্ধন রয়েছে যুগ যুগ ধরে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ আমাকে পাশে পাবে । জনগণ আমাকে যখন যেটা বলেছেন, আমি শুনেছি, পারলে উপকার করেছি কিন্তু কারও কোন ক্ষতি করি নি । এলাকাবাসী কখনো আমাকে নিরাশ করেনি। জনগণের জন্য নির্বাচন। জনগণ তরুণ- উদীয়মান জননেতা, পরিশ্রমী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমি আশা করি জনগণ শতভাগ সৎ, নিষ্টাবান ও নির্ভীক, যোগ্য, সর্ম্পূন নির্ভরশীল বলিষ্ট নেতৃত্বকে নির্বাচিত করবে।

প্রতিদিনের বাংলাদেশঃ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
জয়নাল আবেদিনঃ সৎ, নিষ্টাবান ও নির্ভীক, যোগ্য, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতামুলক দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে থাকতে চাই। এতে অত্র ওয়ার্ড শতভাগ জবাবদিহিতাতে পরিপূর্ন থাকবে। সেই প্রেক্ষিতে সাধারণ ভোটাররা বলবে, আমি কতটা যোগ্য এ নির্বাচনে প্রার্থীতা পাওয়ার। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি অন্য প্রার্থীদের মত না । নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘোরে! নির্বাচন শেষ হলে তাদের রাজনীতিও শেষ! আমি আমার সাধারণ জনগণের সাড়া নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। এলাকাবাসীর দোয়া ও সহযোগীতায় নির্বাচনের মাঠে আছি এবং নির্বাচিত হলে জনগণের সেবক হয়েই পাশে থাকবো।

সবশেষে সোনারায় ইউনিয়নের (পূর্ব শিবরাম) ৫নং ওয়ার্ডবাসীর নিকট দোয়া চেয়ে জয়নাল আবেদিন বেশকিছু উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
প্রিয় পাঠকঃ- জয়নাল আবেদিনের উন্নয়নের ২য় সাক্ষাৎকার খুব শীঘ্রই আসছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন