বিলাসী
প্রবীণ কুমার বালা
বিলাসী,
তোমার বুকের উষ্ণতা অনুভব করতে এসে-
কত জন মরেছে জ্বলে পুড়ে।
তারপরে ও অনেকে আসে যেন; বহ্নিমুখ পতঙ্গ-
পোড়ে সকলে, কিন্তু তুমি নিশ্চল, নিস্ততরঙ্গ।
অনেক বার দেখেছি তোমায়, উচ্ছ্বল যৌবনে মত্ত-
দূর হতে আস্বাদন করেছি তোমার রূপ সৌন্দর্য ।
নয়নে আবেদন, ওষ্ঠ মাঙে চুম্বন –
হাসিতে ঝরে, না বলা কত যে কথন!
অথচ এ তোমার স্বাভাবিক জীবন-
যে না জানে, তার হয় যে মরণ!
ভ্রমর যায় ফুলের কাছে মধুর আশে-
ভুলে যায় ফুলে কাঁটা ও থাকে।
কাঁটার আঘাতে জর্জরিত হয় সারা দেহ-
দেখি তোমায় দোষ দেয় কেহ কেহ-
ওরা জানেনা, এ প্রকৃতির দান-
নয় কোনো সাজানো দোকান।
প্রকৃতির রূপ রস ভোগের নয়,আস্বাদনের
এ সৌন্দর্য স্পর্শের নয়, দর্শনের।
সত্যি বিলাসী-
তুমিই প্রকৃতি।
তোমার রূপ মাধুর্যে আমি দেখি প্রকৃতিকে –
প্রকৃতি তার রূপ রস তোমায় দিয়েছে ঢেলে।
তাই দু’নয়ন জুড়াই তোমায় দেখে দেখে-
লোভি অপার আনন্দ মনে মনে।