মোঃ মামুনুর রশিদ (মিঠু), লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটে পানের পিক গায়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের কর্মচারী নিখিল চন্দ্র (৫০) এর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত নিখিল চন্দ্র লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের হরিদেব (জুরাবান্ধা) গ্রামের মৃত হরেন চন্দ্রের ছেলে। আর আহত বৃদ্ধ প্রফুল্ল (৬৫) তারই প্রতিবেশী একই গ্রামের, মৃত কোনারাম রায়ের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধের ধর্ম জামাতা শ্রী বাবলু চন্দ্র রায় বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ঐ কর্মচারীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত একটি অভিযোগ ২৭ মে রাতেই, লালমনিরহাট সদর থানায় দায়ের করেন।
অভিযোগ ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭) মে বিকেলে বৃদ্ধ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (৬৫) কে, তার বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্ত নিখিল ও তার সাথে থাকা অভিযুক্তরা, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। এসময় কোমরে রডের ও মাথায় হাতুড়ির আঘাতে বৃদ্ধ প্রফুল্ল মাটিত লুটিয়ে পরে।
সোরগোল শুনে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে দ্রুত লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনাটি নিয়ে আহত বৃদ্ধের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি নিরিহ মানুষ, নিখিল সরকারি চাকরি করায় তার অনেক ক্ষমতা, তাই তুচ্ছ ঘটনায় এই ভাবে হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথা ফাটিয়েছে।
বৃদ্ধ প্রফুল্ল বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছেন।
গায়ে পানের পিক ফেলাকে কেন্দ্র করে এমন মারামারির ঘটনায় ঐ এলাকার মানুষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত সেই হাসপাতালের কর্মচারী নিখিল চন্দ্রের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, প্রফুল্ল আমার এক সময়ের ভালো বন্ধু, কিন্তু বর্তমানে সে আমাকে দেখলেই থুথু ফেলে। ঘটনার দিন মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময়, আমার গায়ে পানের পিক ফেলে আমার পরনের সার্ট নষ্ট করে ফেলেছে।
এবিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তদন্তশেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।