পেলে নাকি ম্যারাডোনা, বিশ্বসেরা কে? এই তর্কের ঊর্ধ্বে এখন মহীরুহ দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মৃত্যু সব বদলে দিয়েছে। শোকে ভাসছে প্রতিবেশী দেশ তথা চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলিয়ানরাও।
রিও ডি জেনেরিওর চার্চগুলোয় ম্যারাডোনার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা চলছে। যার সঙ্গে সারাজীবন তুলনা করা হতো সেই পেলে লিখেছেন- ‘বন্ধু হারালাম। আবার আমরা একসঙ্গে ফুটবল খেলব আকাশে গিয়ে।’
পেলে থেকে নেইমার, ডুঙ্গা থেকে কার্লোস প্রত্যেকেই টুইট করে ফুটবলের পিকাসোর জন্য স্বজন হারানোর বেদনাই ব্যক্ত করেছেন।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলা মানেই যে উন্মাদনা, তার অনেকটাই এসেছে পেলে ও ম্যারাডোনার নান্দনিক ফুটবল থেকে। তবে ব্রাজিলের ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফুটবলকে আরও অনেক কিছুই দেয়ার ছিল ম্যারাডোনার। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জেতানো এই কিংবদন্তি।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ছিল। সে যাত্রায় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কে জানত, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সবকিছুর ঊর্ধ্বে চলে যাবেন তিনি।