সাতক্ষীরায় পরকীয়া প্রেমের কারণে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসী নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
অভিযুক্তের নাম আব্দুল খালেক। খালেক হাজিপুর গ্রামের মৃত মোজাম কারিকরের ছেলে। নিহতের নাম পারভিন আক্তার (২৪)। পারভিন সাতক্ষীরা সদরের রাজনগর গ্রামের জামাইপাড়ার আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল খালেকের সাথে সাত বছর আগে বিয়ে হয় পারভিনের। বিয়ের পর থেকে নানাভাবেই নির্যাতন করে আসছিল স্বামী। বিয়ের দেড়বছরের মাথায় তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। তারপরও থামেনি নির্যাতন। সম্প্রতি খালেক একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এক সপ্তাহ যাবত খালেকের সঙ্গে পারভিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে বুধবার ভোরে পারভিনকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার শরীরে কাঁথা চাপা দিয়ে বাইরের দিক থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে ভাটপাড়ায় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ইটভাটায় কাজ করতে যায়। এলাকাবাসী তাদের শিশু কন্যার কান্নাকাটি শুনে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত দেখতে পায়। পরে ইটভাটা থেকে তার স্বামীকে ধরে এলাকাবাসী পুলিশে সোপর্দ করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার সকালে পারভিন আক্তারের লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আব্দুল খালেককে আটক করা হয়েছে।