আশরাফুল হক, লালমনিরহাট।। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী অনন্ত কুমার বর্মন এর বিরুদ্ধে স্ত্রী প্রিয়াংকা রানী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর শাস্তির দাবী করেন স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে স্ত্রী প্রিয়াংকা রানী বলেন, জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বড়াবাড়ি গ্রামের ভোজেন্দ্র নাথ বর্মন রায়ের ছেলে অনন্ত কুমার বর্মনের (২৮) সাথে একই ইউনিয়নের কান্তেশ্বর পাড়া গ্রামের কৃষ্ণ কান্ত বর্মনের মেয়ে প্রিয়াংকা রানীর (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের ৪বছরে এক সন্তানের মা হয়েছেন প্রিয়াংকা। বিয়ের ২বছর পর থেকে স্বামী তার আপন মামা গোবিন্দ চন্দ্রের কু পরামর্শে ৩লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হলেও তাদের নির্যাতনের মাত্রা কমে না। পরে স্বামীর মন জয় করতে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টস-এ কাজ করে বেতনের সমুদয় টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেয় প্রিয়াংকা। এতেও নির্যাতনের মাত্রা কমে না। উপায়ান্তর না পেয়ে গার্মেন্টস এর কাজ ছেড়ে সে বাড়িতে চলে আসে। আবারও শুরু হয় নির্যাতন। দাবী করে যৌতুক। এমতাবস্থায় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না আনায় গত ২২মার্চ বিকালে প্রিয়াংকাকে পিটিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে ছেলাফোলা যখম করে। পরে বিচার চেয়ে সে থানায় অভিযাগ দায়ের করে। এদিকে থানায় অভিযাগ দায়েরের কথা জেনে প্রিয়াংকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযাগ এনে থানায় পাল্টা অভিযাগ দায়ের করে স্বামী অনন্ত কুমার। সংবাদ সম্মেলন থেকে যৌতুক লোভী স্বামীর শাস্তি দাবী করেন স্ত্রী প্রিয়াংকা। সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোফাখখারুল ইসলাম মজনু, সম্পাদক আশিকুর রহমান ডিফেন্সসহ জেলায় কর্মরত অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।