স্টাফ রিপোর্টার।। শীতকাল মানেই অনেকের কাছে পিঠাপুলির সমারোহ। আবার অনেকের কাছে তাপমাত্রা কমে যাওয়া মানে সংগ্রামী জীবন। তবে শীত আসা মানেই প্রকৃতির রুপে পরিবর্তন। আর এ মৌসুমের প্রস্থান মানেই বসন্তের আগমন।
এদিকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহের বিস্তারও অনেকটা কমে আসছে। ঠান্ডা আগের মতো অনুভূত হচ্ছে না। বেলা যত বাড়ছে, গায়ে গরম পোশাক রাখা বেশ অস্বস্তির হয়ে পড়ছে। তবে কি শীত বিদায় নিচ্ছে?
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। খুব অল্পদিনের মধ্যেই কোকিল ডাকবে, শিমুল, পলাশ ও কৃষ্ণচূড়ার শাখা প্রশাখা ফুলে ফুলে রঙ্গীন হবে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, গতকাল বৃহষ্পতিবার দেশের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও আগামীকাল থেকে কোথাও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আপাতত নেই। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে। এর পর ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি হালকা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন বলেন, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে মৃদু ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ঝড়-বৃষ্টি যদি হয় সেক্ষেত্রে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে হবার সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুন্ডে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বৃহঃ রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বৃহঃ আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের তাপমাত্রা প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়াও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
দেশের শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর ও সাতক্ষীরা দিয়ে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হবে।