ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ ও আদালত
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম ডেস্ক
  5. কৃষি ও অর্থনীতি
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্য-প্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নির্বাচন
  11. বানিজ্য
  12. বিনোদন
  13. ভিডিও গ্যালারী
  14. মুক্ত মতামত ও বিবিধ কথা
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর
Link Copied!

তুই সাংবাদিক তো কি হইছে, তোকে জুতা পেটা করবো -আ.লীগ নেত্রীর বোনের হুঙ্কার!

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শ্যালিকা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির বোন ফাতেমা আক্তার মিলি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত । তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন, সংগ্রাম করে আসছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর লাপাত্তা ছিলেন এই নারী প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ২১ শে ফেব্রুয়ারি কোন জাতীয় দিবসেই তিনি পতাকা উত্তোলন করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গণমাধ্যম কর্মী আসার খবর পেয়ে ২৬ মার্চ বুধবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হন তিনি। সেখানে দেশ রুপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশিদসহ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মিলির কাছে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের উপর চড়াও হন তিনি। এসময় প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মিলি সাংবাদিককে জুতা পেটা করাসহ বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শেখ মামুনুর রশিদ জানান, নিয়োগ বানিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন তিনি। এক পর্যায়ে গালিগালাজসহ পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারাপিট করার হুমকিও দেন তিনি। আমি এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করবো।

অভিযোগ আছে, ফাতেমা তার বোন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির দাপটে একক সিদ্ধান্তে চালান বিদ্যালয়। নানা সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণ করতেন তিনি। তার এমন আচরণ আর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য থেকে বাদ যায়নি স্থানীয় বাসিন্দা ও অবিভাবকেরাও। বিগত দিনে প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণ, অনিয়ম- দুনীতিসহ নানা অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনও করেন এলাকাবাসী। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এখনো বেপরোয়া আওয়ামী লীগের আশির্বাদপুষ্ট এই প্রধান শিক্ষক ফাতেমা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, গণমাধ্যম কর্মীর সাথে এমন আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অবশ্যই তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চাইবো। আর তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আছে সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।