প্রতিদিনের বাংলাদেশ।। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর চরমে পৌছায় দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন। ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। যেখানে সেখানে জটলা, মিছিল, মিটিং চলতেই থাকে।
ঢাকার মতো সারা দেশেও মিছিল হয়।
ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় বাঙালির স্বাধীনতা আন্দলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ভাষণ দেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হমিদ খান ভাসানী।
তিনি বলেন, ‘হে বাঙালিরা, আপনারা মুজিবের উপর বিশ্বাস রাখেন, তাকে খামোকা কেউ অবিশ্বাস করবেন না, কারণ মুজিবকে আমি ভালোভাবে চিনি।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয়, তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ নেই। লা-কুম দ্বিনিকুম অলইয়াদ্বিনের মতো অর্থাৎ তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার বলে পূর্ব বাংলার স্বধীনতা স্বীকার করে নাও।’
জনসভায় মাওলানা ভাসানী আরও বলেন, ‘মুজিবের নির্দেশ মতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কিছু না হলে আমি শেখ মুজিবের সঙ্গে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমূল আন্দোলন গড়ে তুলব।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে যুবকরা ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। বিভিন্ন স্থানে চলে গোপন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি।
এক প্রস্তাবে ‘ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস পাকিস্তান’-এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড্ অ্যাকাউন্ট্যান্টস’ নামকরণ করা হয়।
এছাড়া পৃথক বিবৃতিতে বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন, আদমজী শ্রমিক ইউনিয়ন, বিমান পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন।