ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুরের বিশিষ্টপীর জামশেদ আলম ওরফে ফুল বাবা ৭৩ বছর বয়সে ২৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ফেনীতে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। ওই তরুনীর বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়। ফুল বাবা বিশ্ব সুন্নি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হায়াতের অনুসারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়,, দীর্ঘদিন ফেনী সদর উপজেলার ফকিরহাট এলাকায় নিজের মুরিদদের আহবানে মাঝে মধ্যে অবস্থান করতেন নবাবপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের এলাকার ফুল বাবা।
এ সুবাধে স্থানীয় নারী-পুরুষ অনেকের সাথেই তার পীর-মুরিদী সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
স্থানীয়রা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানায়, ওই মেয়ের পরিবারের সাথে ফুল বাবার সম্পর্কের কারণে ফেনী জিয়া মহিলা কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী তানজিনা আক্তার (২৩) তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়। এক পর্যায়ে ফুল বাবা তার পরিবারের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তা গ্রহন করেন।
তানজিনা বালিগাঁও ইউনিয়নের কাতালিয়া গ্রামের নুর বক্স মিয়াজী বাড়ির প্রবাসী দুলালের মেয়ে।
ছাত্রীর নানা নুর করিম বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে জানান, তার নাতনী ফুল বাবার মুরিদ।
বুধবার দুপুরের দিকে ১০ লাখ টাকা কাবিনে ঢাকার আদালত এলাকায় ফুল বাবার তরিকার প্রধান দরবারে বড় আয়োজনে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
ফুল বাবার সাথে নাতিনের বিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুল বাবার এক মুরিদ জানান, ৭৩ বছর বয়স পর্যন্ত ফুল বাবা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হননি।
কাতালিয়ার ছাত্রী আগে থেকেই ফুল বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন। ফুল বাবা স্বপ্ন যোগে বিবাহের নির্দেশনা পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে রাস্ট্রীয় অথবা ধর্মীয় আইনের কোন অবমাননা হয়নি।