স্টাফ রিপোর্টার:: ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে আসন্ন ১৫ আগস্টের শোক দিবসের ছুটি নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তবে, কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপনের কোন পরিবর্তন না আনলে ১৫ আগস্ট সরকারি ছুটি বহালই থাকছে।
বুধবার রাতে একাধিক অবসরপ্রাপ্ত ও পদে বহাল সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ছুটির তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপন বহাল থাকলে তাতে উল্লেখিত সব ছুটি বহাল থাকবে। তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করলে বা সংশোধিত ছুটির তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করলে সে অনুসারে ছুটি নির্ধারিত হবে।
২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছিলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যে প্রজ্ঞাপনটি বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বহাল ছিলো। সে অনুযায়ী এখনো ১৫ আগস্ট ছুটি থাকছেই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দিনটি জাতীয় শোক দিবস থেকে পালিত হয় দেশব্যাপী। এদিন সরকারি ছুটি থাকলেও সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করে। তবে, ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার ওই দিনের ছুটি বাতিল করে। তবে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার দিন ১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি বাতিলকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।