পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন তার দেশেরই এক নারী। বাবর আজম নাকি তাকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়েছিলেন এবং ১০ বছর ধরে তার সঙ্গে মেলামেশা করেছেন।
শনিবার আচমকা পাকিস্তানের লাহোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন হামিজা মুখতার নামে সেই নারী। হামিজার দাবি, বাবর আজম যখন কঠিন সময় পার করছিল, তখন মানসিক ও আর্থিকভাবে তাকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
রামিজা মাখতুম নামে ওই নারি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবর আজম বড় তারকা হওয়ার আগে থেকেই তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। প্রয় ১০ বছর ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলমান ছিল। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। বিয়ের মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
রামিজা জানান, তিনি এবং বাবর আজম ছিলেন স্কুল বন্ধু। একই সঙ্গে পড়া-লেখা করতেন। থাকতেনও তারা কাছাকাছি। যে কারণে তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১০ সালেই রামিজাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাবর। শুধু তাই নয়, কোর্টে বিয়ে করবেন বলে তারা দু’জন নাকি পালিয়েও গিয়েছিলেন।
রামিজা জানান, এরপরই মত পরিবর্তন করে ফেলে বাবর। কারণ, ২০১২ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। খ্যাতি এবং সুনাম বাড়ছিল তার। একই সঙ্গে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলার হাতছানি তার সামনে। এসব কারণে তখন তিনি রামিজাকে আর বিয়ে করেননি।
রামিজা এরপর জানান, বাবর তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন এবং শারীরিকভাবেও নাকি নির্যাতন করেছিলেন। অথচ, তিনি নাকি এক সময় বাবরের সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন।
সাজ সাদিক নামে পাকিস্তানের এক সাংবাদিক টুইটারে ওই নারীর প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও পোস্ট করে তার বক্তব্য এভাবে তুলে ধরেছেন, ‘সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সে আমাকে গর্ভবতী করেছে, শারীরিক নির্যাতন করেছে, আমাকে হুমকি দিয়েছে এবং যেমন ইচ্ছা তেমন ব্যবহার করেছে।’
আচমকা বাবর আজমের বিরুদ্ধে এই নারীর অভিযোগে কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট এখন তোলপাড়। দেশটির ক্রিকেটের সম্মানহানির ক্ষেত্রে এটা ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বোদ্ধারা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যদি কোনো অ্যাকশন না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে।
তবে এ বিষয়ে বাবর আজমের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তিনি এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সেখানে পাক দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলেই কিইয়িদের বিরুদ্ধে টেস্ট ও টি-২০ খেলার কথা পাক দলের।