তাহমিনা আক্তার, ঢাকা:: আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতি ছাড়া কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসব বিদ্যালয়কে আইনের আওতায় আনতে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। নীতিমালা প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে নিবন্ধন ও পাঠদান স্বিকৃতির আবেদন না করা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সচিব জানান, দেশে প্রায় ৪৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ বিদ্যালয় নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতি ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত শিক্ষক ও গুণগত পাঠদানসহ জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালাটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে এসেছে, আগামী সপ্তাহে তা জারি করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকেও এই নীতিমালার আওতায় আসতে হবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি স্বচ্ছ করা হয়েছে।
শুধু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো এই নীতিমালার বাইরে থাকবে।
নিবন্ধন ও পাঠদান অনুমতি সহজিকরণ করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, জেলা পর্যায় থেকে এসব অনুমোদন পাওয়া যাবে। গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতি ও ৬০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিনামূল্যের বই বাধ্যতামূলক পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর বাইরে অন্য যে কোনো বই পড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বেতন নির্ধারণের জন্যও আবেদন করতে হবে। মন্ত্রণালয় তা যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেবে।
শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ লাখ ৬২ হাজার শিক্ষকের দীর্ঘ ৪ বছরের দাবি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এসব শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের প্রস্তাব দুদিন আগে সংসদে পাস হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বছরে চারবার এই আবেদনের সুযোগ থাকবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষকরা পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সুবিধা পাবেন।