নোয়াখালী প্রতিনিধি:: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা করায় ওয়ার্ড ইনচার্জ (নার্স) ও ভান্ডার রক্ষককে (স্টোর কিপার) শোকজ করে তাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। এরআগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খিচুনি সমস্যা নিয়ে রাজিয়া খাতুন এবং বুকে ব্যথা নিয়ে গিয়াস কামাল বাবুসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সাতজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়। এরপরে রোগীর শরীরে ব্যথা শুরু হয়। পরে স্বজনরা জানতে পারেন রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো স্যালাইন মেয়াদোত্তীর্ণ। তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবা উল আলম ভুঁইয়াকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিমকে জানান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
ডা. মোহাম্মদ সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালের সাত রোগীকে শারীরিক দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রোগের সরকারি নরমাল স্যালাইন দেওয়া হয়। যার মেয়াদ গত মে মাসে উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা করায় ওয়ার্ড ইনচার্জ শাহীনুর বেগম ও ভান্ডার রক্ষককে মোবারক হোসেনকে শোকজ করে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. জোবায়ের ও মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নন্দন দাস গুপ্ত রাহুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই সাত রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবা উল আলম ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের শোকজ করে তাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগে এমন অবহেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।