পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::দুমকী উপজেলার আনারস মার্কা চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান বলেছেন,তরুণ প্রজন্মের জন্য উপজেলায় ৫০ টি ফ্রী ওয়াইফাই জোন নির্মান করা হবে। এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ে স্মার্ট ও উন্নত মানবিক দুমকী বিনির্মাণে গড়ার লক্ষে তরুন প্রজন্ম সঙ্গী হতে পারলে বেকারত্ব নিরসনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ মে) সন্ধ্যায় দুমকী মুরাদিয়া ইউনিয়ন পঞ্চায়ত বাজার আল হেরা নূরানী মাদ্রাসা মাঠে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
আনারস মার্কা চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য কর্মসংস্থান এবং বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করতে চাই । তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য কাজ করতে চাই বিশেষ করে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। ইতোমধ্যেই আমি দুমকীতে ২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। নির্বাচিত হলে আরো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করবো ।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সে সময়ও আমি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। তার পরবর্তী সময়েও আপনাদের সাথে আমি কাঁধে কাধঁ রেখে দুমকি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছি তাই আপনাদের অনেকের সম্মতি নিয়ে এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আংশগ্রহণ করেছি।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স পাশ করে এডভোকেট হয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি সেবা করার জন্য।
এডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান বলেন, আমাকে আপনারা নির্বাচিত করলে আমি আগামী ৫ বছর নয় আমার আমৃত্যু পর্যন্ত আপনাদের দুমকি উপজেলা জনগণের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো। অনেক প্রার্থী আছেন যারা নির্বাচনে নির্বাচিত জোক বা না হোক ভোটের পরে আর দুমকি উপজেলায় থাকবে না। এই গুলো আপনারা বিবেচনা করেই আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করবেন।
আনারস মার্কা প্রার্থী মেহেদী হাসান মিজান আরও বলেন,বাংলাদেশের ১২ টি উপজেলাকে ৪ টি প্যাকেজ এ তিনটি করে নির্ধারণ করেছেন। প্রথম ধাপের প্যাকেজে এই দুমকী উপজেলা রয়েছে। এই মেগা প্রকল্পগুলো বিশেষ করে আয়তনে ছোট উপজেলা থেকে শুরু হয়। বিগত দিনেও আপনারা উদাহরণ হিসেবে দেখেছেন শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসাবে দুমকী বাংলাদেশে প্রথম শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছিল।
তিনি বলেন,আমার গ্রাম আমার শহর এই প্রকল্পে দুমকী উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন আমাদের লেবুখালী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত মো: হারুন আর রশীদ। তার কাছে আমরা দুমকীর জনগণ কৃতজ্ঞতা জানাই । তার মতো একজন দক্ষ ও মেধাবী চৌকস অফিসার আমাদের দুমকীর জনপদে ছিল বলেই এই দুমকী উপজেলাটির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য এই প্রকল্পটি দুমকী উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মেহেদী হাসান মিজান বলেন,এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একজন সৎ, শিক্ষিত ও তরুণ নেতৃত্ব নির্বাচিত করে উপজেলা উন্নয়ন করার সুযোগ দিন।
ইতিমধ্যেই সৎ, শিক্ষিত ও তরুণ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করুন এই নির্বাচনীয় স্লোগান হিসাবে আনারস মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছি। এই তিনটি গুনেরও সমন্বয়ে যে ব্যক্তি নির্বাচিত হবে তিনি এই দুমকীকে একটি আধুনিক দুমকীতে ও স্মার্ট উপজেলা হিসাবে রুপান্তরিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রকল্প আপনাদের দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়নের জন্য একজন দক্ষ, সৎ, শিক্ষিত,তরুন জনসেবক দরকার। যদি আমার ভিতরে এই গুনগুলো থাকে তাহলে আগামী ২৯ তারিখ আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে সকলের সেবা করার সুযোগ দিন।
ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক মো: ইউসুফ আকনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, মুরাদীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণত সম্পাদক মো: হারুন চাকলাদার সাবেক, স্থানীয় সমাজ সেবক ইমু গাজী,সালামপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা,শিক্ষক রুহুল আমীন মাউলানা। যয়বুন নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: ইউসুফ আলী,বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: গফুর হাওলাদার। দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাকিব মৃধা সহ আরও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কয়েক শত মহিলা পুরুষ ও যুবকরা । এর আগে দলে দলে সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।