রাজশাহী প্রতিনিধি: স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন মাস একসঙ্গে থাকার পর কলেজছাত্রীকে রেখে ফিরোজ আহম্মেদ (২৪) নামে এক যুবক পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজশাহীর দুর্গাপুরে ফিরোজের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। তাকে বাড়িতে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই কলেজছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন ফিরোজ আহম্মেদ। মেয়েটিও বগুড়ার একটি কলেজে পড়েন। প্রায় দেড় বছর আগে ফিরোজের সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে বগুড়ার সদর মাটিঢালি এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে তারা একসঙ্গে থাকতেন। হঠাৎ ওই কলেজছাত্রীকে কিছু না বলে পালিয়ে যান ফিরোজ। তাকে খুঁজতে শনিবার সকালে তার রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে যান ওই কলেজছাত্রী। ফিরোজের বাবা আব্দুল খালেক তাকে জানান ছেলে বাড়িতে নেই। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করার পর ফিরোজের বাড়ি থেকে চলে আসেন ওই কলেজছাত্রী। তার অভিযোগ- তাকে জোর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। তবে তিনি দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রায় দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক তাদের। ফিরোজের সঙ্গে বগুড়া সদরের মাটিঢালি এলাকায় একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন মাস থেকেছেন তারা। কলেজছাত্রীর এলাকায় ফিরোজকে জামাই হিসেবে চেনে সবাই। হঠাৎ ফিরোজ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এখন বাড়িতে এসে দেখেন ফিরোজ বিবাহিত। ফিরোজের বাড়ির লোকজন তার গায়ে হাত তুলে জোর করে বের করে দিয়েছে।
ফিরোজের বাবা আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, বগুড়ায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে ফিরোজ। কিছু দিন আগে বিয়ে হয়েছে তার। আজ হঠাৎ লালপুর থেকে এক মেয়ে আমার বাড়িতে এসেছে। নিজ ইচ্ছেতেই চলে গেছে। কেউ তাকে তাড়িয়ে দেয়নি।
দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, কলেজছাত্রী জানিয়েছেন ফিরোজের সঙ্গে তিনি তিন মাস স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থেকেছেন। কিন্তু তারা বিবাহিত কিনা সেটি জানাননি। আজ মেয়েটি ছেলের বাসায় এসেছিল। মেয়ের অভিযোগ ছেলের পরিবারের লোকজন তার গায়ে হাত তুলেছে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। যেহেতু ঘটনা বগুড়ায়, তাই কলেজছাত্রীকে বগুড়ার ওই এলাকার থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।