কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া কুমারখালিতে ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী শালিকাকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন দুলাভাইয়ের বিরোধ্যে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নগ্ন ভিডিও প্রচার করেন দুলাভাই। পরে শ্বাশুড়ির দায়ের করা লিখিত অভিযোগে দুলাভাইকে আটক করেছে কুমারখালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে বাদশার বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। লম্পট দুলাভাই আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) পান্টি ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আট বছর পূর্বে ভিকটিমের বড় বোনের সাথে আব্দুর রাজ্জাকের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাঁদের ৪ বছরের এক ছেলে সন্তান আছে। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৩ জুন রাজ্জাককে তালাক দেয় তাঁর স্ত্রী।
স্ত্রীর তালাকে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ জুলাই সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শালিকাকে তুলে নিয়ে আত্মগোপন করেন দুলাভাই রাজ্জাক। মেয়েকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে কুমারখালী থানায় এক সাধারণ ডায়েরী করেন ঐ ছাত্রীর মা। জিডি নং ৪৫৭, তাং ১২/০৭/২০২১।
জিডির সুত্র ধরে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার অভিযান চালাতে থাকে পুলিশ। গত ২৮ জুলাই বুধবার স্কুল ছাত্রীর দুলাভাই আব্দুর রাজ্জাক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে শালিকার তিন মিনিটের এক নগ্ন ভিডিও প্রচার করে। এরপর শুক্রবার দুপুরে পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের পিছনের ভাড়াবাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও দুলাভাই রাজ্জাককে আটক করে পুলিশ।
এবিষয়ে ভিকটিমের মা বলেন, রাজ্জাক খারাপ প্রকৃতির ছেলে। মাদকসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ায় বড় মেয়ে তাঁকে তালাক দেয় গত ২৩ জুন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৮ জুলাই ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে আত্মগোপন করে এবং জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন। এরপর সেই নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করে। তিনি লম্পট আব্দুর রাজ্জাকের শাস্তি দাবী করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ফেসবুকে নগ্ন ভিডিও প্রচার করার অভিযোগে রাজ্জাক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।